শনিবার | ২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১

লালপুরের গণকবর জিয়ারত ও দোয়া

নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে গণকবর জিয়ারত ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবর (১৫ ডিসেম্বর ২০২৩) সকালে উপজেলার গণকবর জিয়াতরত ও দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেডের (নবেসুমি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ খবির উদ্দিন মোল্যা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত আমান আজিজ, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কর্মকর্তাগণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকবাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় লালপুরের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিকান্ড ও লুটতরাজ চালায়। পাকবাহিনী বিতাড়িত হওয়ার মাধ্যমে ১৩ ডিসেম্বর ‘লালপুর মুক্ত’ হয়। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২৪ ডিসেম্বর লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট হাইস্কুল মাঠে এক বিজয় উৎসব, আলোচনা সভা ও শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে লালপুরে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে জিয়ারত কার্যক্রম শুরু হয়। শহীদদের সম্মানে উপজেলার গণকবরগুলো জিয়ারত করা হয়।


ময়না: ৩০ মার্চ ময়নার আম্রকাননে সম্মুখযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ২৫নং রেজিমেন্ট ধ্বংস হয়। সেদিন প্রায় ৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ৩২ জন আহত হন।
রামকান্তপুর: ১৭ এপ্রিল দুয়ারিয়া ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে পাকবাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যা করে।
শহিদ সাগর: ৫ মে পাক হানাদার বাহিনী নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল এলাকা ঘেরাও করে মিলের তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিমসহ কর্মরত প্রায় অর্ধশত শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাকে চিনিকলের অফিসার্স কলোনীর পুকুর পাড়ে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে।
পয়তারপাড়া: ২৯ মে খান সেনাদের একটি দল চংধুপইলের পয়তারপাড়া গ্রামে নদীর পাড়ে ধরে এনে অর্ধশতাধিক নিরীহ মানুষ গুলি করে হত্যা করে।
লালপুর নীলকুঠি: ১৯ জুলাই গোপালপুর থেকে ধরে এনে ২২ জনকে লালপুর নীলকুঠির নিকটে হত্যা করা হয় এবং ২৬ জুলাই একই স্থানে আরোও ৪ জনকে জীবন্ত কবর দেয়।
বিলমাড়িয়া: ২৭ জুলাই বিলমাড়িয়া হাট ঘেরাও করে বেপরোয়া গুলি বর্ষন করে ৫০ থেকে ৬০ জনকে হত্যা করে।
বাওড়া ব্রিজ: যুদ্ধকালীন রেলওয়ের ২১৮ নম্বর বাওড়া ব্রিজ বদ্ধভূমিতে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে ধরে এনে এখানে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.