নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কেউ ভোট চাইলে তাঁকে বেঁধে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৩) রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৎস্যজীবী পাড়ায় এক নির্বাচনী সভায় বক্তব্যে সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এ কথা বলেন। তাঁর এই বক্তব্য সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নাটোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় পাঁচবারের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস এ বছরের শুরুতে মারা গেলে উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাঁকে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। এই আসনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস ওরফে শোভন। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
নির্বাচনী সভায় বক্তব্যে নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, কোনো মেম্বার, চেয়ারম্যান এসে ট্রাক মার্কার ভোট চাইলে তাঁকে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখবেন। কারণ মেম্বার, চেয়ারম্যান নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের নৌকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুসের কর্মী ও বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি নৌকার প্রার্থীদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত না করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার জন্য ও ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছেন এবং তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। এ অবস্থায় নৌকার প্রার্থী যদি নিজেই হুমকি দেন, তাহলে ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন কীভাবে?
স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস নৌকার প্রার্থীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী নিজেই আমার কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আমার কর্মীদের ও ভোটারদের উদ্দেশে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। এ ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই বক্তব্যের ব্যাপারেও তিনি নির্বাচন কমিশনে দরখাস্ত দেবেন।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, তিনি কারও নাম উল্লেখ করে বক্তব্য দেননি। এটা একটা কথার কথা মাত্র। তিনি সুনির্দিষ্ট কাউকে ভয় দেখাননি। তাই এটা আচরণবিধি লঙ্ঘনের আওতায় পড়বে না।