ইমাম হাসান মুক্তি, প্রতিনিধি, নাটোর (লালপুর)
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের ৬৫তম জন্মদিন রোববার (২৫ জুলাই ২০২১)। শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার চকশোভ মিল্কীপাড়া গ্রামে ১৯৫৬ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন মো. আবুল কালাম আজাদ। পিতা বিয়াকুল প্রামানিক ও মাতা আবেজান বেওয়া। স্ত্রী উম্মে তৌহিদা আক্তার বানু। তাঁদের সন্তান তৌহিদুল আজাদ তিতাস, ইঞ্জিনিয়ার সাফিনুর রহমান পল্লব, মেহেদী হাসান পল্লব।
তিনি করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি, করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি, আব্দুলপুর সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৮০ সালে স্নাতক (সম্মান), ১৯৮১ সালে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৮৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে ৫৮ নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভাই।
পেশায় আইনজীবী আবুল কালাম রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি অংশগ্রহন। ১৯৭৩ সালে আব্দুলপুর সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস হন। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) এজিএস নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে স্বৈর শাসক কর্তৃক সামরিক আদালতে যাবৎ জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হন। ১৯৮৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার চাপের মুখে সামরিক সরকার কর্তৃক দন্ডাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ১৯৯২ সালে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএনপি-জামাত সরকার কর্তৃক অসংখ্য মামলা ও দীর্ঘসময় কারাভোগ করেন। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনা ট্রেন সফরকালে ঈশ্বরদী ও নাটোর গোলাগুলি হলেও লালপুর ও বাগাতিপাড়ায় তাঁর নেতৃত্বে সুষ্ঠুভাবে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সালে পুণরায় লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন লাভ করেন কিন্তু নির্বাচন স্থগিত হয়। ২০১৫ সালে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।