শনিবার | ২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১

নাটোরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

নাটোর প্রতিনিধি :
ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে নাটোরে জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি ২০২৪) শহরের কান্দিভিটুয়া মহল্লায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ, রাহুল খান হীরা, রোকনুজ্জামন ও আফজাল হোসেনসহ ১৩ জন আহত হন। বিকালে ঘটনার প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের এমপি শিমুল অনুসারী নেতাকর্মীরা।
নাটোর থানা ও জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলের পক্ষে কাজ করছেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী শেখ। শফিকুল ইসলাম শিমুল এ আসনে টানা দুবারের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। অন্যদিকে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহাদ আলী সরকারের পক্ষে কাজ করছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন।
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রম চলছিল। সেখানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গোলাম রাব্বানী শেখ তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বেলা ১১টায় কেক কাটছিলেন। এ সময় ফরহাদ বিন আজিজ ও শরিফুল ইসলাম তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের নাটোর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী শেখ বলেন, তাঁরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন, ছাত্রলীগের এমন কিছু নেতা-কর্মী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। তিনি নৌকাবিরোধীদের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢুকতে নিষেধ করলে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী শেখসহ কিছু দুর্বৃত্ত পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে ও গুলি চালায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে গোলমালের খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি শান্ত। কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.