নাটোর প্রতিনিধি :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোরের ৪টি আসনে ২৪ জন প্রার্থী জামানত হারালেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি ২০২৪) নির্বাচনে মোট ভোটের ২৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় এসব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
৫৯ নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া): ৭ জন
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৬৯ জন। এরমধ্যে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ২৪৯টি। বাতিল ভোট ৫ হাজার ৪০৭টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪২টি। সে অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ভোট হবে ৪২ হাজার ৫৬২টি।
এ আসনে ১ হাজার ৯৯৬ ভোটের ব্যবধানে নৌকা ডুবিয়ে ঈগল জয় লাভ করেছে। সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ (ঈগল) ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল (নৌকা) ৭৫ হাজর ৯৪৭ ভোট।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নাটোর জেলা শাখার সভাপতি, উত্তরবঙ্গ আখচাষী সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল (হাতুড়ি) পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৩০ ভোট; আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. রমজান আলী সরকার (কাঁচি) পেয়েছেন ২ হাজার ৬১৪ ভোট; জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার মো. আশিক হোসেন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬ ভোট; আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় (ঢেঁকি) পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৬ ভোট; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের (ইনু) ইঞ্জিনিয়ার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (মশাল) পেয়েছেন ৮১৭ ভোট; জাসদ স্বতন্ত্র মো. জামাল উদ্দিন ফারুক (ট্রাক) পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. লিয়াকত আলী (একতারা) পেয়েছেন ৪৫১ ভোট।
৫৯ নাটোর-২ (নাটোর সদর-নলডাঙ্গা): ৩ জন
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯ জন। এরমধ্যে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪১টি, বাতিল ভোট ৫ হাজার ৩২১টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২০টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৪৮ দশমিক ৭০ ভাগ। সে অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ভোট হবে ৪৬ হাজার ৭৬০টি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দশম (২০১৪) ও একাদশ (২০১৮) সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুল (নৌকা) ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. আহাদ আলী সরকার (ট্রাক) পেয়েছেন ৬১ হাজার ১৫৪ ভোট।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন, নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. নুরন্নবী মৃধা (লাঙ্গল) পেয়েছে ২ হাজার ৭১৫ ভোট; বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোহাম্মদ বজলুর রশিদ (ডাব) পেয়েছেন ৮৩৯ ভোট এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. শরিফুল ইসলাম (মশাল) পেয়েছেন ৫৮০ ভোট।
৬০ নাটোর-৩ (সিংড়া): ৭ জন
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮ হাজার ৭৯৪ জন। এরমধ্যে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭০৫টি, বাতিল ভোট ৩ হাজার ৯৫টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮১ হাজার ৬১০টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫৯ দশমিক ৮১ ভাগ। সে অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ভোট হবে ৪৬ হাজার ১৭৬টি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত বিগত ৩ বারের (১৫ বছর) নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. জুনাইদ আহমদে পলক (নৌকা) ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক (ঈগল) পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৫৯ ভোট।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির মো. আনিছুর রহমান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭৭৯ ভোট; বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. আনোয়ার হোসেন (কুলা) পেয়েছেন ২৩০ ভোট; তৃণমূল বিএনপির মো. আবুল কালাম আজাদ (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ২১৯ ভোট; স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (ট্রাক) পেয়েছেন ১২৪ ভোট; বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আমিরুল ইসলাম (ডাব) পেয়েছেন ২০৮ ভোট; তরিকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) মো. আলতাফ হোসেন (ফুলের মালা) পেয়েছেন ৬৫ ভোট এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মো. মিজানুর রহমান মিজান (হাতুরি) পেয়েছেন ৬৩৮ ভোট।
৬১ নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর): ৭ জন
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২০ হাজার ৪৭০ জন। এরমধ্যে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৩টি, বাতিল ভোট ৩ হাজার ৯১৩টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৩৬০টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫০ দশমিক ৭২ ভাগ। সে অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ভোট হবে ৫৩ হাজার ৩১৮টি।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নৌকা) ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রয়াত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন (ট্রাক) পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮ ভোট।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির মো. আলাউদ্দিন মৃধা (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৮৬ ভোট; তৃণমূল বিএনপির মো. আব্দুল খালেক সরকার (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ৭২ ভোট; জাতীয় পার্টির-জেপি এস এম সেলিম রেজা (বাইসাইকেল) পেয়েছেন ২৫৩ ভোট; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) গাজী আবু সায়েম রতন (নোঙ্গর) পেয়েছেন ১৪০ ভোট; বাংলাদেশ কংগ্রেসের শান্তি রিবারু (ডাব) পেয়েছেন ২৭৩ ভোট; আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম (ঈগল) পেয়েছেন ১ হাজার ২৯১ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজন আহমেদ (দোলনা) পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৫ ভোট।