নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে শ্বশুরবাড়ি এসে রাস্তা পারাপরের সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শামসুল আলম (৫২) নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি ২০২৪) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার লালপুর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মহাসড়কের ঈশ্বরদী ইউনিয়নের গৌরীপুর মাসুমের মোড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শামসুল আলম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া গোপালপুর এলাকার মৃত গণি মন্ডলের ছেলে এবং গৌরীপুরের মকছেদ আলীর জামাই। তিনি ঈশ্বরদী পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
নিহতের শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার দুলাভাই শামসুল আলম তাদের (শ্বশুড়) বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাসুমের মোড়ের চায়ের দোকানে চা পান করে বাড়িতে আসার জন্য ইয়াছিন আলীর বাড়ির নিকটে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় পালিদেহা হতে গৌরীপুরগামী একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদুর রহমান সাগর বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেলের চালক পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই দিনে (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বানেশ্বর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার দক্ষিণ লালপুর এলাকায় মৃত আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভুটভুটি উল্টে একই এলাকার খায়েজ মোল্লার ছেলে চান্দু মোল্লা (৬২) ও তার স্ত্রী আরবী বেগম (৪৫) নিহত হন। এছাড়া ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পাবনা-বনপাড়া সড়কে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের গোধড়া গ্রামে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।
এছাড়া দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর শহরের তেবাড়িয়া তেল পাম্পের সামনে যাত্রীবাস ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুড়দিয়ার এলাকার মৃত আসমত আলীর ছেলে এবং সাফল্য বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষক রজব আলী মারা যান।
বিকেলে বড়াইগ্রামের বনপাড়া-হাটিকুমরুল-ঢাকা মহাসড়কের মহিষভাঙ্গা এলাকায় বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ওমর ফারুক (৩২) নামের একজন নিহত হয়েছেন। তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চোপাকিয়া গ্রামের দরদ জামানের ছেলে।