শুক্রবার | ২৬ জুলাই, ২০২৪ | ১১ শ্রাবণ, ১৪৩১

প্যারিসে চিত্রাঙ্কনে বিজয়ী হয়েছে নাটোরের মেয়ে শুভা ও ইভা

সায়কা মাহমুদ, প্যারিস থেকে ।।
প্যারিসে নির্মিত স্থায়ী প্রথম শহিদ মিনারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।এতে ক গ্রুপে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে ফারিয়া নূর ইভা এবং খ গ্রুপে দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে সামিরা নূর শুভা। দুজনই নাটোরের বড়াইগ্রামের বাসিন্দা ।


গত বছরের অক্টোবরে ফ্রান্সের অ্যাসোসিয়েশন সেকোয়ানো বাঙালি সংগঠনের উদ্যোগে প্যারিসে নির্মিত হয়েছে স্থায়ী একটি শহিদ মিনার। গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। এর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্যারিসের একটি বলরুমে। সেখানে ক গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ফারিয়া নূর ইভা এবং খ গ্রুপে দ্বিতীয় হয়েছেসামিরা নূর শুভা। অনুষ্ঠানে সামিরা আহমেদ, নাফিজা কুদ্দুস, আজমেরী রহমান রূপকথাসহ মোট আঠারোজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন সেকোয়ানো বাঙালি সংগঠনের সভাপতি সরুফ ছদিওলের সভাপতিত্বে এবং ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আলী হোসেনের পরিচালনায়প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, ফ্রান্স বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালেহ আহমেদ চৌধুরী,একুশ উদ্যাপন পরিষদের সদস্য সচিব এমদাদুল হক স্বপন, ইউরো বাংলা প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয়কমিটির সভাপতি তাইজুল ফয়েজ,ফ্রান্স বাংলাদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসান শাহ, প্যারিস টাইমসের সম্পাদক মোহামেদ সালাহ উদ্দিন, পত্রিকাটির সহকারী সম্পাদক সায়কা মাহমুদ, ব্লগার সুলতানা জেসমিন, খুলনা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল পাশা প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে সরুপ ছদিওল বলেন, “দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় প্যারিসে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার স্থাপন আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে অনেক আনন্দ আর গৌরবের। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে এই শহিদ মিনার। আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ওরাই একসময় বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। তাই একুশবিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের মাঝে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মাতৃভাষা বাংলা চর্চার একটি সুযোগ করে দিতেই আমাদেই এই প্রয়াস। আশা করছি, ভবিষ্যতে এর চেয়ে আরও বড় ধরনের আয়োজন করতে পারব।”
উল্লেখ্য, প্যারিসে ইভা চতুর্থ শ্রেণিতে আর শুভা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ওরা এখন স্থায়ীভাবে প্যারিসে বসবাস করে। শুভা ও ইভার বাবা প্যারিসে সাংবাদিকতা পেশায় চাকরি করেন।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.