নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে দেশের ৯৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নাটোর জেলার মেধাবী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল ২০২৪) সকাল সাড়ে ১০টায় বনপাড়া সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-৪ আসনের (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
এনজিওবিষয়ক ব্যুরো’র মহাপরিচালক (সচিব) মো. সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নাটোর-১ আসনের (লালপুর ও বাগাতিপাড়া) সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, নীলফামারীর পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার (উপ সচিব) মোতাকাব্বির আহমেদ, নাটোরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, চট্টগ্রামস্থ নাটোর সমিতির সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান সপু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান, সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার শংকর গোমেজ, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন প্রমুখ।
৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশন অব নাটোরের (পুসান) সভাপতি মো. জিহাদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পুসানের প্রতিষ্ঠাতা তানভীর আনোয়ার এবং ড্রধান পর্যবেক্ষক মুরছালিন মিঠু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সারা দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিনি সূঁতোর মালায় গাঁথা প্লাটফর্ম ‘পুসান’ মেধাবীদের সংগঠিত করে বর্তমানে ২৬ জন শিক্ষার্থীকে মাসিক দুই হাজার টাকা হারে মেধা বৃত্তি প্রদান এবং সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘ আট বছর ধরে।
শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি সূক্ষè চিন্তাধারা, সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা এবং সৃজনশীলতার গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে দেশের কান্ডারী হিসেবে গড়ে উঠবে। সকল সীমাবদ্ধতা ও সংকট কাটিয়ে আজকের শিক্ষার্থীরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে সমৃদ্ধির পথে।
অনুষ্ঠানে ৪১ এবং ৪৩তম বিবিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত নাটোরের বাসিন্দাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং ৯৭টি পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে নতুন ভর্ত্তিকৃত ২০০ শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সড়ক প্রদক্ষিণ করে।