নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরের বড়াইগ্রামে বৈষম্য বিরোধী গনঅভ্যুথানের সুযোগে জোরপূর্বক জমি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করা অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একটি মহল বিরদ্ধে। সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় রক্ষা প্রায় ভুক্তভোগী। শনিবার সকালে বনপাড়া এলাকায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবী ওই ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ওই জমির মালিক জরিনা বেগম, তার স্বামী আব্দুল রহিম খান, ছেলে শাহিন উদ্দিন খান, পুত্রবধু রাবিনা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে শাহিন উদ্দিন খান বলেন, উপজেলার বনপাড়া পৌর এলাকার কালিকাপুর গ্রামের ও বনপাড়া বাইপাসের পাশে অবস্থিত আমার মায়ের নামের নামজারী ও ভুমি উন্নায়ন কর পরিশোধ করা জমিতে লাউ গাছ, পেঁপে গাছ, কাঁঠাল ও আমের চারা রোপন করে ভোগ দখর করে আসতে ছিলাম। বাড়ি করার জন্য ইট, বালি, লোহার রডসহ নির্মাণ সমগ্রী রেখে দিয়েছিলাম। ছাত্রদের গণঅভ্যুথানের সুজোগে ৭ই আগষ্ট সেই জমিতে গাছ পালা কেটে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে কালিকাপুর এলাকার মকছেদ মন্ডল ও তাদের ছেলেরা। আমি বাধা দিলে মারপিট করতে আসে। আমি সেনাবাহিনিকে বিষয়টি জানালে তারা এসে তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও তারা ওই জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি বড়াইগ্রাম থানায় একাট লিখিত অভিযোগ করি। কিছুদিন থেমে থেকে তারা নাটোর আদালতে আমার ও মা জরিনা বেগম, বাবা আব্দুর রহিম খান, আসামী করে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
জরিনা বেগম বলেন, মকছেদ মন্ডলের ভয়ে পরিবারসহ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
অভিযুক্ত মকছেদ মন্ডল বলেন, জরিনা বেগমের গাছ বা ইট, বালির ক্ষতির বিষয়ে আমার জানা নাই। জরিনা বেগম আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। জমি আমাদের। জরিনার ছেলে মিথ্যা অভিযোগ করতিছে। ওদের কাগজপত্র ঠিক নেই। এ নিয়ে সামাজিকভাবে অনেক সালিশ বৈঠক হয়েছে।