নুজহাত ইমাম প্রাপ্তি, নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী কলেজ :
‘যতদিন শেখার আনন্দ তোমার থাকবে, যতদিন জ্ঞানের প্রতি তৃষ্ণা থাকবে, যতদিন জানার প্রতি আগ্রহ থাকবে, ততদিন তোমরা তরুণ থাকবে; কখনো বৃদ্ধ হবে না।’
সোমবার (৭ অক্টোবর ২০২৪) রাজশাহী কলেজের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক একাদশ শ্রেণির নতুন শিক্ষার্থীদের ‘রিসিপশন ও ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকিব প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক পারভেজ রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রিসিপশন এন্ড ওরিয়েন্টেশন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ নাফিস ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শিখা সরকার ও একাদশ শ্রেণির ভর্তি কমিটির আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন। এতে কলেজের সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কলেজ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের ফুল ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব আরও বলেন, যারা এ কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তারা পরম ভাগ্যবান। এই সুযোগের শতভাগ সদ্ব্যবহারের পরামর্শ দেন। একজন ভাল বন্ধু তোমাকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যেতে পারে।
প্রধান অতিথি বলেন, সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্টের প্রতিবাদী আন্দলনে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। আমি নিজেও এই কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমি জানি এই কলেজ তোমাদেরকে ভালো কিছুই দিবে। আমি নিজেও সব সময় ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকি। আমার কাছে মনে হয় ছাতত্বের চেয়ে আনন্দদায়ক আর কিছুই নেই। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থাকার সময় আমি যেটা লক্ষ্য করেছি, প্রিন্সটন, হার্ভার্ড অক্সফোর্ডের ছাত্ররা যে মানের রাজশাহী কলেজের সেরা ছাত্ররাও ঠিক সেই মানের। রাজশাহী কলেজে আমি ছিলাম মাত্র দুই বছর কিন্তু যে বন্ধুত্বগুলো আমার তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে সেগুলো এখনো টিকে আছে।
রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা। শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের মাধ্যমেই কলেজের কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী বলেন, রাজশাহী কলেজ প্রশাসন প্রত্যেক বারই শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে নতুন কিছু জিনিস যুক্ত করে সেটা এবারও হবে। রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা শুধু বাংলাদেশ না সারা বিশ্বেই তাদের কাজের ও মেধার দ্যুতি ছড়াবে। কলেজের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিশেষ অবদান রাখবে।