নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক–২০২২ পেয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম। রোববার (৩১ জুলাই ২০২৩) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর গলায় স্বর্ণপদক পরিয়ে দেওয়া হয়। সম্মাননা পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সংগীত বিভাগে স্নাতকে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া কমল দত্ত।
শিল্পী খুরশীদ আলমের গলায় স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, এ বছর খুরশীদ আলমের মতো বরেণ্য শিল্পীকে ফিরোজা বেগম স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মান জানাতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানিত হলো।
প্রয়াত নজরুলসংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের স্মৃতির স্মরণে এই পদকের প্রবর্তন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফিরোজা বেগম স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে এই স্বর্ণপদকের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়।
শিল্পী খুরশীদ আলমকে অভিবাদন জানান ফিরোজা বেগম স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা এসিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা। তিনি বলেন, সাধনা আর একাগ্রতা কিংবদন্তি করেছে ফিরোজা বেগমকে। অন্যদিকে নজরুলসংগীতকে মহিমান্বিত করেছে তাঁর কণ্ঠ। শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে বিশুদ্ধ বাংলা গানের চর্চাকে এগিয়ে নিলে বাংলাদেশের সংগীতজগৎ সমৃদ্ধ হবে।
পদক গ্রহণের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, ‘বিশেষ এই পদক আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান। একসময় প্রয়াত নজরুলসংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের সঙ্গে একই মঞ্চে গান গাইতে পারলেই নিজেকে সুখী ভাবতাম। আজ পেলাম তাঁরই নামে দেওয়া পদক।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ দাঁ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার। পদক প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল নজরুলসংগীত পরিবেশনা ও নৃত্য। অনুষ্ঠানের শেষে শ্রোতাদের জন্য কয়েকটি গান গেয়ে শোনান শিল্পী খুরশীদ আলম।
খুরশীদ আলমের আগে ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক পেয়েছেন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফেরদৌসী রহমান ও সৈয়দ আবদুল হাদী।
১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই ফরিদপুরে জন্ম ফিরোজা বেগমের। ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বরেণ্য এই শিল্পীর মৃত্যুর পর ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক প্রদান আয়োজন।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো