শনিবার | ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১৮ মাঘ, ১৪৩১

ছাত্রজনতার নিরস্ত্র বিপ্লবে অবাক নোবেলজয়ী হোর্তা

-প্রফেসর ড. মো: ফখরুল ইসলাম।
গতবছর ডিমসম্বরে চার দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ১৯৯৬ সালে শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা। পূর্ব তিমুরের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই বাংলাদেশে প্রথম সফর। তিনি দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ নামে একটি প্রোগ্রামে পুরস্কার এবং পুরস্কারের অর্থ প্রদান করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মাত্র ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি ঢাকায় এসেছিলেন। বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস ২০২৪-এর অনুষ্ঠানে তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হোর্তা ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দ্যা চ্যালেঞ্জেস অফ পিস ইন দ্যা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড ’-শীর্ষক থিমের ওপর বক্তব্য দেন ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ ছাত্রনেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুরের জনগনের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
পূর্ব তিমুরের সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পূর্বতিমুরের একজন তরুণ কূটনীতিককে বছরব্যাপী বিশেষ কূটনীতিক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির ওপর প্রফেশনাল মাস্টার্স ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য বৃত্তি প্রদান করে আসছে। কূটনৈতিক প্রশিক্ষণটি ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে।
এছাড়া উভয় দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান পরিষেবা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষা, পেশাদার ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) এবং ক্ষুদ্র অর্থ ও ক্ষুদ্রঋণ সহ দারিদ্র বিমোচনের বিষয়ে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও পূর্বতিমুরের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ হিসেবে খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, কৃষি, চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ, প্রাণীসম্পদ ও প্রাণী চিকিৎসা, গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার, তথ্য প্রযুক্তি, পর্যটন, দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুযোগ সুবিধা ও স্থায়ী নাগরিকত্ব প্রদান এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়সমূহ আলোচিত হয়েছে।
জোসে রামোস-হোর্তা (জন্ম ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৯, দিলি, পূর্ব তিমুর) একজন পূর্ব তিমুরিজ রাজনৈতিক কর্মী যিনি, বিশপ কার্লোস এফএক্স বেলোর সাথে, পূর্ব তিমুরে শান্তি ও স্বাধীনতা আনতে তাদের প্রচেষ্টার জন্য ১৯৯৬ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন , একটি প্রাক্তন পর্তুগিজ দখল যা ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। রামোস-হোর্তা পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রী (২০০৬-০৭) এবং রাষ্ট্রপতি (২০২২- বর্তমান) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে-‘রামোস-হোর্তার মা ছিলেন একজন স্থানীয় তিমোরিজ, এবং তার বাবা একজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন যাকে স্বৈরশাসক আন্তোনিও সালাজারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেয়াার জন্য পূর্ব তিমুরে নির্বাসিত করা হয়েছিল । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন অধ্যয়ন করার পর , রামোস-হোর্তা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য পূর্ব তিমুরে (তখন পর্তুগিজ শাসনের অধীনে) ফিরে আসেন। তার কর্মকান্ড পর্তুগিজ শাসকদের ক্ষোভ নিয়ে আসে এবং ১৯৭০ সালে তিনি মোজাম্বিকে পালাতে বাধ্য হন। ১৯৭২ সালে ফিরে এসে রামোস-হোর্তা স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন। পূর্ব তিমুরের গৃহযুদ্ধে ফ্রেটিলিন দল ১৯৭৫ সালে সরকারের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে এবং পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সেসময় রামোস-হোর্তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনোনীত করা হয়। কিন্তু মাত্র নয় দিন পরে ইন্দোনেশিয়া পূর্ব তিমুর আক্রমণ করে এবং রামোস-হোর্তাকে আবার নির্বাসনে বাধ্য করা হয় ।’
অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসতি স্থাপন করে রামোস-হোর্টা নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেই অবস্থান থেকে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পূর্ব তিমুরের পক্ষে প্রাথমিক কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন, জাতিসংঘে পূর্ব তিমুরের ডি ফ্যাক্টো অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন । তিনি দখলদার ইন্দোনেশিয়ান সামরিক বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং তার দেশে সহিংসতা বন্ধ করার জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রচার করেছেন । ১৯৯৬ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর, তিনি দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ নামে একটি প্রোগ্রামে পুরস্কার এবং পুরস্কারের অর্থ প্রদান করেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘের ‘ট্রানজিশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ প্রতিষ্ঠা করার পর ১৯৯৯ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
রামোস-হোর্তা ক্ষমা এবং পুনর্মিলনের জন্য অনুরোধ অব্যাহত রাখেন এবং ‘২০০০ সালে পূর্ব তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন; ২০০২ সালে পূর্ব তিমুর পূর্ণ সার্বভৌমত্ব অর্জনের পর তিনি সেই অফিসে অব্যাহত রাখেন। ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর পর দেশে যুদ্ধ শুরু হয়। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী মারি আলকাতিরি শত শত সৈন্যকে গুলি করে যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ধর্মঘটে গিয়েছিল। সংকট মোকাবেলার জন্য সমালোচিত, আলকাতিরি পদত্যাগ করেন এবং রামোস-হোর্তার স্থলাভিষিক্ত হন, যিনি জুলাই ২০০৬ এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মে ২০০৭ সালে রামোস-হোর্তা প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরের বছর পূর্ব তিমুরের দিলিতে তার বাড়ির বাইরে বিদ্রোহীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন।’ তিনি সুস্থ হয়ে উঠে বাকি মেয়াদ শেষ করেন। এরপর প্রাক্তন গেরিলা নেতা এবং পরে পূর্ব তিমুরের সামরিক কমান্ডার তোউর মাতান রুয়াক তার স্থলাভিষিক্ত হন। তারপর রামোস-হোর্তা পূর্ব তিমুরের ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভূমিধসের মাধ্যমে জয়ী হয়েছেন। তিনি ২০২২ সালের ২২ মে তারিখে দেশের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হন।
কিছুদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্য হবে পূর্ব তিমুর। পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সামনের দিনে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী।’আমাদের রোহিঙ্গা সংকট সমাধান কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তা সাহায্য করবেন বলে আশা দিয়েছেন।
বিষয়টি হলো- বর্তমানে সারা বিশ্বে কয়জন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান রয়েছেন যারা নোবেল শান্তি বা অন্যান্য বিষয়ে নোবেল পরস্কারে ভূষিত? দুই নোবেলপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কর্ণধারের একত্রিত হবার গল্পটি অনেকেই জনেন না। আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোতে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তার নোবেল পুরস্কার অর্জনের তথ্যটি প্রচারিত হয়নি। তার এই খ্যাতির কথা জানে না আমাদের বর্তমান প্রজন্ম !
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশংসায় ভাসিয়ে জোসে রামোস হোর্তা বলেন, ‘পৃথিবীতে সম্ভবত ড. ইউনূসই একমাত্র নেতা, যার এত যোগ্যতা আছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে, যা বিস্ময়কর। পৃথিবীতে সম্ভবত তিনি একমাত্র নেতা, যিনি এত সম্মানিত এবং এমন শক্তিশালী একাডেমিক যোগ্যতাসম্পন্ন।’
তাঁর এই প্রশংসামূলক বক্তব্য সারা পৃথিবীর বিজ্ঞজনের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। কিন্তু অজ্ঞতাবশত: অনেকে তার সফরের ব্যাপারে কিছু বিরুপ মন্তব্য করেছেন। একজন বলছিলেন ড. ইউনূস পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট ছাড়া আর কাউকে বাংলাদেশে আনতে পারলেন না? ব্যাপারটা হলো- তিনি তার অজ্ঞতা ও মূর্খতা বশত: প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তার সংগ্রামী জীবন ও নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির প্রেক্ষাপট জানেন না। এমনকি তিনি ও তার বন্ধুরাও প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তার শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তির কথা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আমাদের দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোতে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তার নোবেল পুরস্কার অর্জনের তথ্যটি তেমনভাবে হাইলাইটেড হয়নি। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী দুইজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে টিভি সংবাদে এক টেবিলে বসতে দেখেও কারোমধ্যে কোন উচ্ছাস বা প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যায়নি। শিক্ষার্থীরা অনেকেই এ ব্যাপারে জানে না, এমনকি তাদের কোন কৌতুহলও লক্ষ্য করা যায়নি !
এই কি আমাদের লড়াকু জেন-জি প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত? অথচ, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তা তাঁর শেষ বক্তব্যে আমাদের বিপ্লবী-সংগ্রামী ছাত্র জনতাকে প্রশংসার সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন। আমাদের ছাত্র-জনতা একটি নিরস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বর্তমানে দেশের সংস্কারে লেগে গেছে- সেই সংবাদ তাকে সুদূর পূর্বতিমুর থেকে তাঁর হৃদয়কে নাড়া দিযেছে। তিনি দেখতে এসছিলেন, তার সেই যৌবনকালের সংগ্রামী জীবনের আন্দোলনের সাথীদের মতো বাংলাদেশে এরা কোন যুবক-তরুণরা?
তিনি নির্দ্বিধায় বলেছেন, নেলসন ম্যান্ডেলা তার সংগ্রামী ফসলকে ঘরে তুলতে একসময় সাথীদের অস্ত্র হাতে নিয়ে লড়াই করতে উদ্বৃদ্ধ করেছিলেন। চে গুয়েভারা, মহাত্মা গান্ধীর মতো শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন একসময় বৃটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দেলনে রুপ নিতে দ্বিধা করেনি। অস্ত্র হাতে নেবার পূর্বে তারা ভয়ংকর বিপদের মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল। রক্ত তারাও দিয়েছিল। কিন্তু সেটা ছিল শেষমেশ অস্ত্র হাতে প্রতিবাদের ভাষা মুখে নিয়ে।
কিন্তু বাংলাদেশে এমন কি ঘটেছিল যে, খালি হাতে ভয়ংকর ফ্যাসিষ্ট শক্তির বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে সাঈদরা এবং পানির বোতল হাতে মুক্তরা বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে নির্ভীকতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল? এটাই তার সরাসরি দেখার ও বেঁচে যাওয়াদের কথা বলার ইচ্ছেকে তাড়িত করেছিল। সেকথা তিনি উচ্চারণ করেও গেছেন নির্দ্বিধায়। নিরস্ত্র বিপ্লবের গূঢ় রহস্য তাকে বেশ অবাক করে তুলেছিল। সেটা অকপটে প্রকাশ করে শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রেসিডেন্ট রামোস-হোর্তা তাঁর অন্তরের আকাঙ্খাকে আমাদের তরুণ বিপ্লবীদের মাঝে খুঁজে-ফিরে দেখতে চেয়েছিলেন। তবে আমাদের জুলাই বিপ্লবের চারমাস না পেরুতেই চারদিকে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যা মোটেই সুখকর নয়। আমাদের নিরস্ত্র বিপ্লবীদের মধ্যে আত্মশুদ্ধি ও আত্মন্নোয়নের বিকাশ ঘটে যাবতীয় কান কথার বিনাশ ঘটুক এবং সকল প্রকার অহং, প্রতাপ ও বৈষম্য চিরতরে নিরসন হোক। এই প্রত্যাশা যেন বাস্তব হয়ে প্রেসিডেন্ট হোর্তার মতো বিশ্বের সকল বৈষম্যবিরোধী মানুষের অন্তরে দাগ কাটতে ইতিহাসে সদা উজ্জল ও সচল থাকে সেটাই চাওয়া।
* প্রফেসর ড. মো: ফখরুল ইসলাম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন। E-mail: [email protected]

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.