নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে একটি খামারে ১৮০ গ্রাম ওজনের একটি মুরগীর ডিম পাওয়া গেছে। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত মুরগীর ডিমের ওজন ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। সেখানে এই বিশাল আকৃতির ডিম দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী। ডিমটি দেখতে অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন।
উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ভাটাপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়ার খামারে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ ২০২৫) গোলাম কিবরিয়ার খামারে তাঁর মা মোছা. মমতাজ বেগমের (৫৯) সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, বুধবার খামারে গিয়ে একটি খাঁচায় অস্বাভাবিক বড় একটি ডিম দেখতে পেয়ে প্রথমে ভয় পেয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে স্বাভাবিক হলে বিষয়টি পরিবারের অন্যদের জানান।
খামার মালিক গোলাম কিবরিয়া জানান, পাঁচ মাস আগে তিনি নিজ বাড়িতে লেয়ার মুরগীর খামার শুরু করেন। এক মাস ধরে মুরগীগুলো নিয়মিত ডিম দিচ্ছে। থাঁর মায়ের কাছে ব্যতিক্রম একটি ডিমের কথা শুনেন। খামারে এসে ডিমটি সংগ্রহ করে ডিজিটাল স্কেলে পরিমাপ করে দেখেন ওজন ১৮০ গ্রাম! এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে কৌতূহলী মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন।
গোলাম কিবরিয়ার ভাতিজা হারুনর রশিদ ও প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিনসহ কয়েকজন জানান, এত বড় মুরগীর ডিম তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। সাধারণ ডিমের তুলনায় এটি প্রায় চার গুণ বড়, পাশাপাশি ডিমটির গঠনও স্বাভাবিকের তুলনায় ভিন্ন। এর খোলস মসৃণ না, বরং কিছুটা অস্বাভাবিক দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, সাধারণত লেয়ার মুরগীর ডিম ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। কোনো মুরগী অনিয়মিত ডিম দিলে তার ডিমে একাধিক কুসুম থাকতে পারে, যার ফলে ওজন ৮০-১০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। তবে ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পাওয়া অত্যন্ত বিরল ঘটনা। তিনি আরও জানান, তাঁর চাকরিজীবনে এত বড় মুরগীর ডিমের কথা এই প্রথম শুনলেন।
অস্বাভাবিক আকারের এই ডিম নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন। আবার কেউ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডিমের গঠনতন্ত্র নিয়ে গবেষণার কথা বলছেন।