বুধবার | ১২ মার্চ, ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১

রানীক্ষেত রোগে খামারের ৫ হাজার কোয়েল পাখির মৃত্যু

নাটোর প্রতিনিধি:
কোয়েল পাখির খামার গড়ে সংসারে সচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন আবু রায়হান (৩৫)। চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে প্রথমে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তোলেন। তবে আশানুরূপ লাভ না হওয়ায় ইউটিউব দেখে শুরু করেন কোয়েল পাখি পালন। তবে তার খামারে আকস্মিকভাবে গত তিনদিনে রানীক্ষেত রোগে প্রায় পৌনে পাঁচ হাজার কোয়েল পাখি মারা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার পশ্চিম ডেবরপাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগী রায়হান একই এলাকার মৃত রনজিত কারিগরের ছেলে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ ২০২৫) সরেজমিনে দেখা যায়, খামারের ভেতর কোয়েল পাখি মরে স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। সেগুলো ঝুড়িতে উঠাচ্ছেন রায়হান। তাঁর ছেলে সাকিব সেই পাখিগুলো বস্তায় ভরে রাখছেন। পরে বস্তাগুলো মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।


এ সময় খামারি আবু রায়হান বলেন, তিন মাস আগে ৫ হাজার পাখির বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেছিলেন। দুই মাসের মধ্যে পাখি ডিম দিতে শুরু করে। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ডিম উৎপাদন হচ্ছিলো। গত ৭ মার্চ থেকে খামারে শুরু হয় বিপর্যয়। হঠাৎ কিছু পাখি ঝিমিয়ে পড়ে ও মারা যেতে থাকে। উপজেলা পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ প্রয়োগ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। একে একে সব কোয়েল মারা যায়। এখন শুধু ১শ পাখি বেঁচে আছে। এগুলোও অসুস্থ থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, খামারটি গড়ে তুলতে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। যা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার নিয়েছেন। পাখি বিক্রির মাধ্যমে সেই ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা থাকলেও এখন তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে এই রোগকে ‘রানীক্ষেত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি এক ধরনের সংক্রামক ভাইরাস। যা খামারের ভেতর দ্রুত ছড়ায়। এতে রায়হানের খামার পুরো শেষ হয়ে গেছে। এ রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত খামার পরিদর্শন করে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.