ডেক্স রিপোর্ট:
সম্প্রতি রাশিয়ার ইকেতেরিনবুর্গের ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এটমস্কিলসের দশম চ্যাম্পিয়নশীপে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন পাঁচ বাংলাদেশী পেশাদার। এবারের চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশ, চীন, তুরষ্ক, মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা, উজবেকিস্তান, বেলারুশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কাজাখস্থান এবং রাশিয়ার দুই হাজারের অধিক পেশাদার এবং শিক্ষার্থী ৪৪টি ক্যাটাগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রসাটমের মিডিয়া উইং মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচ বাংলাদেশী পেশাদারের পুরস্কার প্রাপ্তির খবর জানিয়েছে।
বিজয়ী বাংলাদেশীরা হলেন- ওয়েল্ডিং ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন আব্দুল খালেক এবং তার দল, একই ক্যাটাগরিতে ব্যাক্তিগতভাবে রানার্স আপ আব্দুল সাত্তার এবং কংক্রীট কন্সট্রাকশন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় স্থান অধিকারিরা হলেন সালাউদ্দীন মো. নাজমুল হুদা, আলী কাওসার এবং আহমেদ রবিন।
রসাটমের মহাপরিচালক পুরস্কারপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা নিজ নিজ দেশের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এলিট এবং আপনাদের নিয়ে আমরা গর্বিত। রুশ পারমাণবিক শিল্পের জন্য এবছর একটি মাইলফলক। আট দশক পূর্বে রাশিয়ায় জাতীয় পরমাণু শিল্প উন্নয়নে প্রথম সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সেভেরদভস্ক অঞ্চলের একটিং গভর্নর ডেনিস পাসলার বলেন, “এই চ্যাম্পিয়নশীপের মাধ্যমে শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং নগর উন্নয়নে অবদান রাখছেন এমন এমপ্লয়ীদের কাজের মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। তরুণ পেশাদারদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের পেশার সম্মান বৃদ্ধির সুযোগ প্রদান করে এটমস্কিলস।
রসাটম জানায়, পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এটমস্কিলস-২০২৫ চ্যাম্পিয়নশীপে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের ১৬টি ডিভিশন ও কোম্পানী, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দি¦তা করেন। এবারে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সংখ্যা ছিল ৭০টি, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। প্রথাগত বিভিন্ন পেশাভিত্তিক ক্যাটাগরি যেমন ওয়েল্ডিং প্রযুক্তি, প্রকৌশল নকশা, কম্পোজিট টেক প্রযুক্তি, শিল্প অটোমেশন, সফটওয়্যার রোবোটিক্স ইত্যাদি ছাড়াও নতুন ফর্ম্যাটে আরও দু’টি ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়।
ক্যারিয়ার গাইডেন্স, পেডাগোজি, এইচআর এবং প্যারেন্টিং এই চারটি মূল থিমের ভিত্তিতে এবারের চ্যাম্পিয়নশীপ অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের জন্য কনফারেন্স, ফোরাম, ওয়ার্কশপ, লেকচার, এনালিটিক্যাল এন্ড প্রোজেক্ট সেশন, প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি আয়োজন করা হয়। পেশাগত দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু উদ্ভাবনী বিষয় এবারের আসরে যুক্ত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ওয়াল্ডিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো থিম ভিত্তিক একাধিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।