রবিবার | ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৩০ চৈত্র, ১৪৩১

ছাত্রদল নেতাকে আটকের পর থানা থেকে ছিনিয়ে নিলেন নেতাকর্মীরা

নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে ছাত্রদল নেতা রুবেল উদ্দিনকে আটকের পর থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ২০২৫) লালপুর থানায় এই ঘটনা ঘটে।
তিনি উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। নাটোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
লালপুর ও বাগাতিপাড়া থানা এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ চৌধুরীর উপজেলার জয়ন্তীপুরের বাড়িতে মধ্যরাতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে বাগাতিপাড়া ও লালপুর থানা পুলিশ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে লালপুর থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে বাগাতিপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী থানায় উপস্থিত হয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেন। এ সময় অসম্মতি জানালে একপর্যায়ে হট্টগোল করে থানা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে রুবেলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁর অনুসারীরা।


নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, ‘যতদূর জানি বিএনপি নেতা আব্দুর রশীদের বাড়িতে গুলির ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিন জড়িত ছিলেন না। তবে রুবেলকে আটকের পর থানায় কী ঘটেছে তা তিনি নিশ্চত নন।’
নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, বাগাতিপাড়া থানার একটি মামলার আসামী মো. রুবেল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে লালাপুর থানার হেফাজতে রাখলে লালপুর থানা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নামধারি বিপথগামী কতিপয় নেতা তাঁকে জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, ঘৃনিত ও দু:খজনক ঘটনা। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) লালপুর উপজেলা শাখার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এই ধরনের কাজের জন্য দল কোনভাবেই দায়ী নয় ও দায় দায়িত্ব নিবে না। এই ধরনের অপকর্মের তিব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশ বাহিনীসহ অনান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। পশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), যুবদল, ছাত্রদলের উর্ধতন নেতৃবৃন্দের প্রতি এসব দুস্কৃতিকারিদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ এবং ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার দায়ে যথাযথ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন, ‘পরে কথা বলব।’
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লালপুর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তাকে লালপুর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ যাঁরা এ ঘটনায় জড়িত, তাঁদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনী কাজ শুরু করেছে।’

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.