নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. বিপ্লব হোসেন (৪১) মরণব্যাধি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (১২ এপ্রিল ২০২৫) সকাল ১০টায় বালিতিতা ইসলামপুর ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। তিনি উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত শাহাবাজ মন্ডলে ছেলে। তিনি শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী মোসা. সাবেরা আবির, তাঁদের সন্তান মো. আরাফ হোসেন ও মো. আহনাফ হোসেনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারি সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৫ এপ্রিল) তাঁর কিডনি ডায়ালাইসিস চলা অবস্থায় স্ট্রোক করে রাজশাহী মেডিকেলের আইসিইউতে মৃত্যুর কাছে হার মেনে অবশেষে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন মো. বিপ্লব হোসেন। মরণব্যাধি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৮ বছর দেশে বিদেশের নামীদামী হাসপাতাল ও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন।
জীবনবৃত্তান্ত: নাটোরের লালপুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ১৯৮৪ সালের ৩১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন শিক্ষক ও উদ্যোক্তা মো. বিপ্লব হোসেন। পিতা মৃত শাহাবাজ মন্ডল ও মাতা মোসা. রেহানা বেগম। স্ত্রী মোসা. সাবেরা আবির। তাঁদের সন্তান মো. আরাফ হোসেন ও মো. আহনাফ হোসেন। তাঁরা ৮ ভাই ও ৫ বোন। তিনি ২০২৫ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০০০ সালে এসএসসি, লালপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০২ সালে এইচএসসি, সরকারি এ্যার্ড ওয়ার্ড কলেজ, পাবনা থেকে ২০০৬ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি ২০১৩ সালের ১৫ জুন লালপুর ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে লালপুর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে কাজে যোগদান করে কর্মরত ছিলেন।
তিনি ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নাটোর জেলার বর্ষ সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১২ সালে সালে বাংলাদেশের বর্ষ সেরা উদ্যোক্তা ৩য় স্থান অর্জন করেন। তিনি নাটোর জেলা উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি ও লালপুর যুব সংঘ সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।