বিশেষ প্রতিনিধি:
নর্থ সী-রুট (উত্তর সমুদ্রপথ) এর উন্নয়নের জন্য এই রুটে কার্গো চলাচল বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক আর্কটিক ফোরাম ‘দা আর্কটিক- দা টেরিটরি অফ ডায়ালগ’ এ ‘নর্থ সী-রুটের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন মডেল’ শীর্ষক একটি সেশনে বক্তব্য রাখছিলেন। রসাটমের মিডিয়া উইং এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে নর্থ সী-রুট উন্নয়নের খবর জানিয়েছে।
এসময় লিখাচেভ বলেন, “সর্বপ্রথমে নর্থ সী-রুটে কার্গো জাহাজ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে এই রুটে কার্গো পরিবহণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত বছর এর পরিমান রেকর্ড ৩৮ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়েছে। এই রুটের সঙ্গে যুক্ত মহল আমাদেরকে শত শত মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন”।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান চাহিদা পূরণে আমাদের ১১টি আইসব্রেকার প্রয়োজন, যা ইতোমধ্যেই আমাদের হাতে আছে। এগুলোর মধ্যে ৮টি পরমাণু শক্তি চালিত। আমাদেরকে উন্নয়ন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে পদার্পন করতে হবে- একশ থেকে দেড়শ মিলিয়ন কার্গো পরিবহণের সক্ষমতা। এর জন্য আমাদের দরকার ১৫-১৭টি আইসব্রেকার, যা আমাদের নির্মান করতে হবে”।
নর্থ সী-রুটের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে রসাটম মহাপরিচালক বলেন, “আইসব্রেকার কার্গো পরিবহণ করে না। এর জন্য দরকার কার্গো জাহাজের বহর। আমাদের হাতে এই মুহুর্তে যথেষ্ট পরিমান কার্গো জাহাজ নেই। তাই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন”।
নর্থ সী-রুটের উন্নয়নে ৩০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এই সমূদ্র পথের উন্নয়ন পরিকল্পনা অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদী হতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্কটিক (উত্তর মেরু) উন্নয়নে রুশ প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি ভ্লাদিমির পানোভ চীন এবং ভারতের সঙ্গে এবিষয়ে সহযোগিতা একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে চালু রয়েছে। নর্থ সী-রুট ব্যবহার করে চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে কন্টেইনার কার্গো চলাচল দু’বছর আগে শুরু হয়েছে এবং প্রতি বছরই কার্গো পরিবহণের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রুশ আর্কটিক অঞ্চলের উন্নয়ন দেশটির একটি অগ্রাধিকার জাতীয় কৌশল। ২০১৮ সালে রুশ সরকার রসাটমকে নর্থ সী-রুটের অবকাঠামো অপারেটর হিসেবে নিযুক্ত করেছে।