বিশেষ প্রতিনিধি:
রাশিয়ার তৃতীয় ইউনিভার্সাল নিউক্লিয়ার আইসব্রেকার ইয়াকুতিয়া আজ (১৫ এপ্রিল ২০২৫) তার নিয়মিত সমূদ্র যাত্রা শুরু করেছে। রাশিয়ার মুরমান্সক বন্দর থেকে বরফ কাটার এই জাহাজটি উত্তর সমুদ্রপথ বা নর্থ সী-রুটের অন্তর্গত কারা সমুদ্রের ইয়েনিসেই অঞ্চলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ইতোপূর্বে, গত ১৩ এপ্রিল আইসব্রেকারটি সেন্ট পীটার্সবার্গ থেকে মুরমান্সক এসে পৌছে। রসাটমের মিডিয়া উইং পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
রসাটমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এফইউএসই এটমফোটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ইয়াকোভ আন্তনভ বলেন, “উত্তর সমুদ্রপথে বর্তমানে বরফ জমাট প্রক্রিয়ার সময় শেষ হয়ে আসছে। এই দূর্গম রুটে চলাচলকালে পরমাণু শক্তিচালিত আইসব্রেকারটির প্রযুক্তিগত সুবিধা যেমন- সক্ষমতা, কর্মকৌশল, ডুয়েল ড্রাফটের কার্যকারিতা প্রমানিত হবে”।
রাশিয়ার বিখ্যাত প্রকল্প ২২২২০ এর অধীনে নির্মিত ইয়াকুতিয়া আইসব্রেকারটির দৈর্ঘ্য ১৭৩.৩ মিটার, প্রস্থ ১০.৫ মিটার এবং ড্রাফট ১০.৫ মিটার / ৯.০৩ মিটার। পরিষ্কার পানিতে এর গতিবেগ ২২ নটিক্যাল মাইল এবং জাহাজটি ৩ মিটার পর্যন্ত পুরু বরফ কেটে এগিয়ে যেতে সক্ষম।
উত্তর সমুদ্রপথে টেকসই জাহাজ চলাচল এজাতীয় বরফ কাটা জাহাজগুলোর দক্ষ কার্যক্রমের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। রাশিয়ার চতুর্থ ইউনিভার্সাল নিউক্লিয়ার আইসব্রেকার চুকোতকা এবং এজাজতীয় পঞ্চম আইসব্রেকার লেনিনগ্রাদের নির্মান কাজ বর্তমানে বাল্টিক শীপইয়ার্ডে চলমান। চলতি বছরেই ষষ্ঠ এমন একটি আইসব্রেকার ‘স্ট্যালিনগ্রাদ’ এর নির্মান শুরু হবে।
উত্তর মেরুতে একটি শীর্ষস্থানীয় শক্তিধর দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে রাশিয়া নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এতদঞ্চলে রাশিয়ার প্রতিযোগিতা সক্ষমতার একটি অনন্য ভিত্তি দেশটির পরমাণু শক্তি চালিত আইসব্রেকারের বহর।