নাটোর প্রতিনিধি :
মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মো. শান্ত ইসলাম (৩৩) নিহত হয়েছেন। এ সময় তার মেয়ে উম্মে সুরাইয়ার (৫) পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. জেসমিন খাতুন (৩০) আহত হয়েছেন।
নিহত শান্ত ইসলাম নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের আট্টিকা (জামতলা) গ্রামের এজাহার আলীর ছেলে।
সোমবার (১৯ মে ২০২৫) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কের বানিয়াপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের চাচা সাখাওয়াত হোসেন নান্নু জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় শান্ত, তার মেয়ে ও স্ত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শান্তর মৃত্যু হয়েছে। মেয়ে উম্মে সুরাইয়ার অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে শান্ত ইসলাম মেয়ে উম্মে সুরাইয়াকে তার স্কুলে পৌঁছে দিতে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসা. জেসমিনসহ মোটরসাইকেলে বাঘা উপজেলার গ্রীন হ্যাভেন স্কুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাজুবাঘা ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা ঢাকাগামী সুপার সনি এক্সপ্রেসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাবা ও মেয়ের ডান পা ঘটনাস্থলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. আশাদুজ্জামান।
এ ব্যাপারে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক বাস ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নিয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।