নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমো হ্যাকার ও ব্যাংক রিসিট প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে ২০২৫) দিবাগত গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মো. আ. কুদ্দুস মোল্লার ছেলে মো. রাজু আলী (২৮), পানসিপাড়া গ্রামের মো. বাচ্চু মন্ডলের ছেলে আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ (১৯), এনামুল মোল্লার ছেলে শান্ত আহমেদ (১৯), মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. সোহান আলী (২০) ও ইসলাম প্রামানিকের ছেলে মো. আব্দুল লতিফ ওরফে জালামিন (২২)।
লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ সময় নওপাড়া ও পানসিপাড়া গ্রামের একাধিক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইমো হ্যাকার ও ব্যাংক রিসিট জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেন তারা। আটককালে তাদের নিকট থেকে একটি ল্যাপটপ, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২২ টি দামি মোবাইল, ৭০ টির অধিক মোবাইল সিম কার্ড, ৪০ পিস ইয়াবা, শুকনো গাঁজা, মাদক সেবনের বিভিন্ন উপকরণ ও কন্ঠ পরিবর্তনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ সময় তারা ইমো হ্যাকিং ও ব্যাংক রিসিট জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. মমিনুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইমো হ্যাকার চক্রগুলো সাধারণ মানুষ ও প্রবাসীদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের নির্মূলে বুধবার চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও সাইবার নিরাপত্তা সুরক্ষা আইনে থানায় দুটি মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি সদস্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত শনিবার (২৪ মে) উপজেলার মোহরকয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হ্যাকার চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছিল যৌথবাহিনী। সেনাবাহিনীর এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। হ্যাকার, ব্যাংক রিসিট জালিয়াতি চক্র ও মাদক ব্যবসায়ী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান স্থানীয়রা।