বিশেষ সংবাদদাতা:
চলতি বছরে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ ‘আইসব্রেকার অফ নলেজ’ শীর্ষক উত্তরমেরু অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য রাশিয়া ব্যাতীরেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টি দেশের ৩,৫০০ এর অধিক ১৪- ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে। রসাটমের সহায়তায় এটি একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও শিক্ষামূলক প্রকল্প, যা বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ার পারমানবিক শিল্প তথ্যকেন্দ্র নেটওয়ার্ক। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নাম ২০ জুন ঘোষণা করা হবে। রসাটমের মিডিয়া উইং বুধবার (৪ জুন) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আবেদনের খবর জানিয়েছে।
রসাটম জানায়, প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন এবং পরমাণু প্রযুক্তির প্রচার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা রাশিয়ার ‘বিজয়ের ৫০ বছর’ নামক একটি আইসব্রেকারে চড়ে উত্তরমেরু সমুদ্রপথে ভ্রমণ করবেন। চলতি বছরের এই অভিযানটি রাশিয়ার পরমাণু শিল্পের ৮০ বছর পূর্তি এবং উত্তরমেরু সমূদ্রপথ আবিষ্কারের ৫০০ বছর পূর্তিকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, বেলারুশ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, হাঙ্গেরী, ভিয়েতনাম, ভারতসহ ২০টি দেশের স্কুল শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেছে রেকর্ড সংখ্যক ১৫৩জন শিক্ষার্থী।
প্রতিযোগিতাটি অনলাইনে goarctic.energy ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একটি সৃজনশীল ভিডিও প্রেজেন্টেশন জমা দিতে হবে। প্রেজেন্টেশনের বিষয় কীভাবে পরমাণু প্রযুক্তি তাদের নিজস্ব দেশের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। একটি আন্তর্জাতিক বিচারক প্যানেল প্রেজেন্টেশনগুলো মূল্যায়ন করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে।
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন এবং পরমাণু প্রযুক্তির প্রচার ছাড়াও এই প্রকল্পটির অন্য একটি লক্ষ্য হলো, প্রতিভাবান শিশুদের খুঁজে বের করা এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা ও ক্যারিয়ার গাইডেন্স প্রদান করা। ১৪- ১৬ বছরের শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীরা আইসব্রেকারে করে উত্তরমেরু অভিযানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। গত ছয় বছরে বিভিন্ন দেশের ৩৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী এই অভিযানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
বর্তমানে বিশ্বে একমাত্র রাশিয়ারই একটি নিজস্ব পরমাণু শক্তিচালিত আইসব্রেকারের বহর রয়েছে। FSUE Atomflot নামক এই বহরে মোট আটটি পরমাণু আইসব্রেকার আছে।