বিশেষ প্রতিনিধি:
ঈশ্বরদীতে পুলিশী অভিযানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অপহৃত দশম শ্রেণি স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে উদ্ধার হয়েছে। এসময় মামলার প্রধান আসামিও গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকেলে আসামীকে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত বৃষ্টি রানী সাহা (১৫) ঈশ্বরদী শহরের নাজিম উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিার্থী। সে ঈশ্বরদীর ফতেহ মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। গত ৫ জুন সকাল ৮টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা শংকর সাহা বদরু ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, এলাকার ইমন আলী শেখ বাদশা (২২) স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বৃষ্টিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বৃষ্টি এতে সাড়া না দেওয়ায় আসামি ইমন তাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিল। গত ৫ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ফতেহ মোহাম্মদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ইমন ও তার সহযোগীরা একটি সিএনজিতে করে বৃষ্টিকে জোরপূর্বক তুলে নেয়। অপহরণের সময় ইমনের সঙ্গে মো. নাদিম (৫০) ও তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৪৫) ছিল।
ঘটনার দুইদিন পর ৮ জুন ঈশ্বরদী থানা পুলিশের একটি টিম গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে প্রধান আসামি ইমন আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকেই অপহৃত বৃষ্টিকে উদ্ধার করা হয়। পরে অপহৃত বৃষ্টিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীার জন্য পাঠানো হয় এবং সোমবার সন্ধ্যায় পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আ.স.ম আব্দুন নুর জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।