নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মনজুর রহসান মঞ্জু হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাসান আলী টুমনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (১৬ জুন ২০২৫) নাটোর ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৫ জুন) দিবাগত রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নাটোর ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হাসান আলী টুমন উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার শিবপুর (খাঁ পাড়া) গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মঞ্জু উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার আজিমপুর রেলস্টেশনে রবিউল ইসলামের কনফেকশনারি দোকানের সামনে ছিলেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের একটি দল এসে তাৎক্ষণিক মনজুর রহমান মঞ্জুর মাথা ও পেটে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত মঞ্জুর ভাই মাসুদ রানা বাদী হয়ে (২ মে ২০২৪) হাসান আলী টুমনসহ ১৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে অভিযুক্ত করে লালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন টুমন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সোমবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন জানান, টুমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি ও নাশকতার ১৪টি মামলা রয়েছে। সে আর কোনো ঘটনার সাথে জড়িত কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর গোপালপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহারুল ইসলামকে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ১ নম্বর ফটকের সামনে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মনজুর রহমান মঞ্জু সেই হত্যা মামলার প্রধান আসামি।