নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের সাতজনসহ আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক ট্রাকচালক মহির উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই ২০২৫) দিবাগত রাতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নাটোর সদরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বামন ডাঙ্গা গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক ট্রাকটির (ঢাকা মেট্রো-ট ২৪-৪৮৬৪) চালকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৯৫/৯৮/১০৫ ধারায় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে বড়াইগ্রামের তরমুজ পাম্প এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনায় নিহতরা সবাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের সাতজন হলেন জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তাঁর স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), আপন বোন রোউসনারা আক্তার ইতি (৪৮), চাচাতো বোন আনোয়ারা খাতুন (৫৫), চাচাতো ভাবি আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), শাশুড়ি আনজুমান খাতুন (৬৩) ও শ্যালিকা সীমা খাতুন (৩৫)। নিহত আরেকজন হলেন মাইক্রোবাসচালক জয়নাল আবেদিনের ছেলে শাহাবুদ্দিন (৪২)।
আরও জানা যায়, নিহত জাহিদুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান কুয়েতপ্রবাসী। সোহানুরের স্ত্রী সাফিয়া বেগম সিরাজগঞ্জে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে দেখতে জাহিদুল ইসলাম স্বজনদের নিয়ে মাইক্রোবাসে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসের আট আরোহীর পাঁচজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।