বিশেষ প্রতিনিধি:
সম্প্রতি চীনে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার ইউনিভার্সিটি’ এর ‘সামার ইন্সটিটিউট’ ইভেন্টে রুশ পরমাণু শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছয়জন এমপ্লয়ী অংশগ্রহণ করেন। সামার ইন্সটিটিউট মূলত একটি শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম যার লক্ষ্য হলো বিভিন্ন দেশের নিউক্লিয়ার শিল্পে কর্মরতদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করা।রসাটমের মিডিয়া উইং এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চীনে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার ইউনিভার্সিটি’ এর ‘সামার ইন্সটিটিউট’ এর খবর জানিয়েছে।
এবারের প্রোগ্রামে রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটম তাদের সর্বাধুনিক চতুর্থ প্রজন্মের পরমাণু রিয়্যাক্টর প্রযুক্তি উপস্থাপন করে। একটি কোজড নিউক্লিয়ার সাইকেল অর্জনে এই প্রযুক্তিটি যুগান্তকারী হিসেবে বিবেচিত। এজাতীয় নিউক্লিয়ার সাইকেলে বিভিন্ন ধাপে পরমাণু জ্বালানীর রূপান্তরে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলোর ধারাবাহিকতা ব্যাখ্যা করা হয়।
আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী চতুর্থ প্রজন্মের পরমাণু শক্তি ব্যবস্থায় যেসকল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় তাদের সম্মিলিত লক্ষ্য হলো পরমাণু জ্বালানীর দক্ষতা বৃদ্ধি, অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, এনার্জী দক্ষতা অর্জন এবং স্পেন্ট ফুয়েলের পরিমান উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা ইত্যাদি।
পরমাণু শিল্পের এমপ্লয়ীদের মধ্যে নেতৃত্ব ও যোগাযোগ দক্ষতার উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রতি বছর ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে সামার ইন্সটিটিউট আয়োজিত হয়ে থাকে। এটি একটি ২৭০ ঘন্টাব্যাপী নিবিড় আন্তর্জাতিক শিক্ষা কার্যক্রম। রোটেশন পদ্ধতিতে বিভিন্ন দেশ এটির আয়োজন করে থাকে। এই কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত থাকে- লেকচার, ব্যবহারিক ক্লাস, বিভিন্ন পরমাণু শিল্প স্থাপনা পরিদর্শন এবং দলভিত্তিক প্রকল্প। প্রতি বছর এই প্রোগ্রামে ৭০ জন অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন।