লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে নাটোরের লালপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর ২০২৩) উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৪২টি মন্দিরে দুপুর থেকে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্ধ্যা রাতে সম্পন্ন হয়। ভক্তবৃন্দরা জানান, দেবীকে বিসর্জনে যেমন কষ্ট রয়েছে তেমনি আগামীতে দর্শনের আকাঙ্ক্ষাও। এ সময় ঢাক ও ঢোলের তালে তালে নেচে গেয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তবৃন্দরা। একপাশে বেদনার সুর অন্য পাশে আনন্দের জয়োধ্বনি। মিশ্র অনুভূতিতে ভরা ভক্তবৃন্দের মন। মা দূর্গাকে শেষ অঞ্জলি দিয়ে তাঁরা বিদায় জানান। দেবীর পায়ে সিদুর দানের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্বরূপ সারা বছর এই সিদুর ভালোবাসার যত্নে লালন করেন বিবাহিত নারীরা। বিকেলে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভিন্ন পুকুর ও পদ্মা নদীর পাড়ে সমবেত হয়। এ সময় তাঁরা বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে গেয়ে পূজা বিসর্জন সম্পন্ন করেন। সনাতন ধর্মলম্বীদের প্রার্থনা আগামী বছর আবারও মা দুর্গা আসবেন, আবারও জীবনের আনন্দে সাজাবেন বিশ্বকে, বিনাশ করবেন সকল অপশক্তিকে। লালপুরের বিভিন্ন পূজা বিসর্জন স্থলে উপস্থিত ছিলেন জোতদৈবকী শিব ও কালী মন্দির কমিটি ও লালপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিপেন্দ্রনাথ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার কর্মকার, শ্রী শ্রী কালী মাতা মন্দির ও শ্রী শ্রী গৌড় গোবিন্দ দেব বিগ্রহ মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী শতদল কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন সাহা, জোতদৈবকী শিব ও কালী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজিত কুমার সরকার, লালপুর ত্রিমোহিনী শিব মন্দির কমিটির সভাপতি রতন কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার, চকবাদেকুলপাড়া শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি এ্যাড. সাধন কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার কুন্ডু, এছাড়াও বিভিন্ন পুজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি সম্পাদকসহ বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে দুর্গাপূজা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা জানান, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ৪২টি পুজা মন্ডপে আনন্দঘন পরিবেশে ও নিশ্ছদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুজা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পুজা বিসর্জন হওয়ায় তিনিসহ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি-সম্পাদক, পুলিশ প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান, বিভিন্ন পুজা কমিটির সভাপতি-সম্পাদক, আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।