নাটোর প্রতিনিধি :
বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক শিক্ষার প্রেক্ষাপটে নাটোরের লালপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে সময়োপযোগী ও দৃষ্টিভঙ্গি-বদলানো ‘ফান্ডামেন্টাল আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ট্রেনিং প্রোগ্রাম’।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে ছায়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ মিলনায়নে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এক সাথে চলি’র এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এতে এআই-ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে আগ্রহী ৪৭ জন শিক্ষক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছায়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. সিমানুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাজার শরীফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এক সাথে চলি’র (এসাচ) সভাপতি ইমাম হাসান মুক্তি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমাম হাসান মুক্তি বলেন, আজকের এই প্রশিক্ষণ শুধু শিক্ষদের জন্য নয়, বরং সকলের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা যেকোনো শিক্ষার মান ও গতি উন্নত করতে পারি। তাদের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করতে পারি। যার মাধ্যমে শিক্ষায় প্রযুক্তির নবদিগন্তে পদার্পণ করেছে।
প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ম. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি অংশগ্রহণকারীদের সামনে বাস্তবভিত্তিক ও সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মৌলিক ধারণা, শিক্ষা ব্যবস্থায় এর ব্যবহারিক ভূমিকা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য এআই টুলসের কার্যকর ব্যবহার এবং অ্যাডাপটিভ লার্নিং-এর গুরুত্ব।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. সিমানুর রহমান বলেন, এই প্রশিক্ষণ প্রমাণ করে, প্রযুক্তি শুধু একটি মাধ্যম নয়-এটি একটি বিপ্লব। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা হোক প্রযুক্তি-দক্ষ এবং শিক্ষকরা হোক সেই পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক।
অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র প্রদান করা হয়। শিক্ষক ও সাংবাদিকদের অনেকে জানান, এআই সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণা দূর হয়েছে। এখন তারা এআই-ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি স্থানীয় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ভবিষ্যতে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।