নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের লালপুর উপজেলা গণধিকার পরিষদের (জিওপি) নবগঠিত কমিটির ৩৬ নেতাকর্মীর পদত্যাগ ঘিরে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩টি পৃথক পদত্যাগপত্র ছড়িয়ে পড়লে উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়। ছড়িয়ে পড়া ওই পদত্যাগপত্রে দেখা যায়, নাটোর জেলা নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মোছা. মেহেন্নিকা পারভীন, লালপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামারুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল হেলাল, ৮ নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মো. ইমরান আলী, ৬নং ওয়ার্ড গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. লোকমান হাকিম ও সদস্য সচিব মো. মুনসুর আলী স্বাক্ষর করেছেন। তবে ইউনিয়ন কমিটির ১৪ জন ও ওয়ার্ড কমিটির ১৫ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও তাদের স্বাক্ষর নেই। এ বিষয়ে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান রাজু জানান, স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে উপজেলা কমিটির তিনজন ও জেলা কমিটির নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মোছা. মেহেন্নিকা পারভীনের পদত্যাগের পত্রটি দেখেছি। তবে বাকিরা পদত্যাগ করেছেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই তারা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি ও নাটোর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মেহেদী হাসান সোহাগ জানান, চার জনের পদত্যাগের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। তবে তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। । এ বিষয়ে মো. আসাদুজ্জামান জানান, রোববার তিনি সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৬ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার কিংবা দলে ফেরার আর কোন ইচ্ছা তাদের নেই। এ বিষয়ে নাটোর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি অ্যাড. মো. হারুন অর রশিদ বুলবুল বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন পদত্যাগপত্র পাইনি। সুতরাং এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট লালপুর উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার দুইদিনের মাথায় পদত্যাগের এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সম্পাদনায়: রাশিদুল ইসলাম রাশেদ
সাব এডিটর, দৈনিক প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ