বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রথমবারের মতো চীন থেকে একটি সমুদ্রগামী পন্যবাহী জাহাজ নর্থ সী-রুটের মাধ্যমে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ফেলিক্সটোয়ে বন্দরে পৌছেছে। যার মাধ্যমে নর্থ সী-রুট ব্যবহার করে দুই মহাদেশের মধ্যে একটি কার্যকর ও সম্ভাবনাময় যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক অর্জিত হলো বলে রসাটমের মিডিয়া উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
২৫,০০০ টন কার্গো নিয়ে, জাহাজটি চীনের নিংবো থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে ১ অক্টোবর নর্থ সী-রুটে প্রবেশ করে। রসাটমের একটি প্রতিষ্ঠান জাহাজটিকে প্রয়োজনীয় নেভিগেশন ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করে। যুক্তরাজ্যের বন্দরে পৌছাবার পর জাহাজটি অন্যান্য ইউরোপীয় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। নতুন এই সমুদ্র রুট ব্যবহারের ফলে সময় লেগেছে মাত্র ২০দিন, যা প্রচলিত রুটে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রায় দ্বিগুন।
বৈশ্বিক জাহাজ চলাচল শিল্পে লজিস্টিক্সগুলোকে কার্বনমুক্ত করা একটি অন্যতম লক্ষ্য। নর্থ সী-রুটের মতো সংক্ষিপ্ত রুট এই লক্ষ্য অর্জনে একটি বড় অগ্রগতি। নর্থ সী-রুট ব্যবহারে পরিবহন সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি গ্রীন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।
পশ্চিম ইউরেশিয়া এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত যাতায়াত পথ হচ্ছে নর্থ সী-রুট। এই রুটটি রাশিয়ার জাতীয় পরিবহন নেটওয়ার্কেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০২৪ সালে এই পথে ৩৭.৯ মিলিয়ন টন পন্য পরিবহন করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১.৬ মিলিয়ন টন বেশি।
রুশ আর্কটিক অঞ্চলের উন্নয়ন রাশিয়ার একটি জাতীয় কৌশলগত অগ্রাধিকার। এই লজিস্টিক্স করিডর উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মান ও নিয়মিত ফ্রেইটার সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে; একই সঙ্গে নতুন পরমানু শক্তি চালিত আইসব্রেকার নির্মানও করা হচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমানু শক্তি সংস্থা রসাটম এই কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।