
রাশিদুল ইসলাম রাশেদ :
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক এড. তাইফুল ইসলাম টিপু বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে নিপীড়িত ও নির্যাতিত নেতা তারেক রহমান। সে যখন ছোট ছিল বাবা যুদ্ধে গেছে। জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে মায়ের সাথে দীর্ঘ সময় জেল খেটেছে। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বিদেশে গিয়ে ভাইকে হারিয়েছে। নানীকে হারিয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে মা দেশের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর মায়ের স্নেহ পাইনি। জেলখানায় থাকা অবস্থায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন করা হয়েছে। পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও দেশের মানুষকে ভালোবাসে বিধায় এত জুলুম নির্যাতন সহ্য করে মানুষের উন্নয়নের জন্য নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মহা পরিকল্পনা নিয়েছেন। আগামী দিনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা, বাংলাদেশকে রক্ষা ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার বিকল্প নাই। রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে লালপুর উপজেলার ভেল্লাবাড়িয়া বাগুদেওয়ান আলিম মাদ্রাসা মাঠে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণসংযোগ ও পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় গনসংযোগটি লোকে লোকারণ্য হয়ে জনসভায় পরিনত হয়।
এ সময় টিপু আরো বলেন, আমরা পালিয়ে যাওয়ার দল করি না। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। খালেদা জিয়া ওয়ান ইলেভেন ও ফ্যাসিবাদী সরকারের জেল জেল জুলুম সহ্য করেছে। হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবুও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নাই। আপসও করেন নাই। সেই আপসহীন নেত্রীর আপসহীন কর্মী আমরা। ৪৩ বছর ধরে দলের রাজনীতি করছি। দলের চরম বিপদের সময়ে পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। বিএনপি, খালেদা ও তারেক রহমানকে ছেড়ে কখনো যেতে পারবো না। যখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মারা গেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার শূন্যতা পূরণে খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে বাপের সম্পদ বিক্রি করে লালপুর-বাগাতিপাড়ায় সংগঠন তৈরি করেছি।
এ সময় লালপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান সরকার, গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রানা, আব্দুলপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও লালপুর উপজেলার বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।