মঙ্গলবার | ১১ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

পদ্মার চর জুড়ে অভিযানের পেক্ষাপট: গ্রেপ্তার ৬৭, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট : 

রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলায় পদ্মা নদীর বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার (৮ নভেম্বর, ২০২৫) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদক।
রাজশাহী রেঞ্জের অন্তর্গত রাজশাহীর বাঘা, পাবনার ঈশ্বরদী ও বেড়া (আমিনপুর) ও নাটোরের লালপুর থানা এলাকায় ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ নামের এই অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ, র‍্যাব, আরআরএফ ও এপিবিএনের প্রায় ১ হাজার ২০০ সদস্য। অন্যদিকে একই সময়ে খুলনা রেঞ্জের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে পৃথক অভিযানে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১০ ঘণ্টার ওই অভিযানে খুলনা রেঞ্জের ৩১৫ জন পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
অভিযান শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমাদের তিনটি লক্ষ্য ছিল। প্রথমত, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা। দ্বিতীয়ত, সাধারণ মানুষকে চোরাচালান, মাদক, পাচার, অস্ত্র, বালুমহাল নিয়ে বিরোধ, চুরি ডাকাতি থেকে চরবাসীকে রক্ষা করা। তৃতীয়ত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা যাতে তারা আর এমন কাজে যেন লিপ্ত না হয় এবং সাধারণ মানুষকে সাহস যোগানো যাতে পুলিশকে তারা সহযোগিতা করতে সাহস পায়।
আমরা পদ্মার চরে এই প্রথম এমন ব্যাপক অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অনেকটা পূরণ হয়েছে। আমরা সন্ত্রাস, হ্যাকার, সর্বহারা, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি, মাদক চোরাকারবারি ও অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। পদ্মার চরে সক্রিয় প্রায় ১১টি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে।  তাদের মধ্যে আলোচিত ‘কাকন বাহিনী’র সদস্যসহ সব মিলিয়ে রাজশাহী রেঞ্জের অধীনে তিনটি জেলায় মোট ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী রেঞ্জের বাঘা থানায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৪ জন, মাদকের ৬ জন, ডেভিল হান্টের ২ জন ও সর্বহারা দলের ২জনসহ মোট ১৪ জন, নাটোর জেলার লালপুর থানায় হ্যাকার ৪ জন, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি একজন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি একজন, হত্যা মামলার একজন, মাদকের ৭ জন ও অন্যান্য ৬ জনসহ মোট ২০ জন, পাবনা জেলায় সর্বহারা একজন, মামলার আসামি ২জন, ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৭ জন, ডেভিলহান্টের ২ জন, মাদক মামলায় ৪ জন ও নিয়মিত মামলায় ৮ জন সহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

সন্ত্রাসের আতুরঘর চরাঞ্চল

ডিআইজি শাহজাহান বলেন, সম্প্রতি পদ্মার চরাঞ্চলে হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ফসল ও বালু লুটের মতো অপরাধ বাড়ছিল। এসব অপরাধে জড়িত হিসেবে কুখ্যাত ‘কাকন বাহিনী’র নাম সামনে আসে সবচেয়ে বেশি। গত ২৭ অক্টোবর ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে এই বাহিনীর গুলিতে মন্ডল বাহিনীর দুই জন ও কাকন বাহিনীর একজন নিহত হন। ঘটনার পর বাহিনীর প্রধান রোকনুজ্জামান কাকনসহ কয়েকজনের নামে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় মামলা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আরও ছয়টি মামলা রয়েছে।

একই ঘটনায় ২ নভেম্বর, ২০২৫ কাকন বাহিনীর সদস্য নিহত লিটন হোসেনের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মন্ডল বাহিনীর ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০–১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে দেরি করছে এমন অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের জবাব দিতে আমরা মাঠে নেমেছি। এই অভিযান পদ্মার চরের মানুষকে সন্ত্রাসের ভয় থেকে মুক্তি দেবে বলে মনে করেন তিনি।’

সক্রিয় ১১টি সন্ত্রাসী বাহিনী
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, চরাঞ্চলে কাকন বাহিনীর পাশাপাশি মন্ডল, টুকু, সাইদ, লালচাঁদ, রাখি, শরিফ কাইগি, রাজ্জাক, চল্লিশ বাহিনী, বাহান্ন বাহিনী, শুকচাঁদ ও গাহারুর বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।
‘ইঞ্জিনিয়ার কাকন’ নামে পরিচিত রোকনুজ্জামান কাকনের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর নির্মমতায় চরের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি।

অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ নামকরণ

অভিযানের নামের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ডিআইজি শাহজাহান বলেন, “রাতে আমরা চরে পৌঁছে অবস্থান নিয়েছিলাম, কিন্তু অভিযান শুরু করেছি ভোরের প্রথম আলোর সঙ্গে। সূর্যের প্রথম আলো নতুন দিনের প্রতীক, তাই আমরা নাম দিয়েছি ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’। আশা করছি, এই আলো চরের মানুষের জীবনে স্বস্তি বয়ে আনবে।”
তিনি আরও বলেন, অভিযান শুধু গ্রেপ্তারে সীমাবদ্ধ নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ওয়ানশুটার গান, একটি রিভলভার, তাজা গুলি চারটি, গুলির খোসা দুইটি, ছয়টি বড় ছুরি, ২৪টি হাসুয়া, ড্যাগার ৬টি,  চারটি চাকু, দুটি চাপাতি, ২টি ছোরা, একটি দা, একটি লোহার পাইপ, একটি টিউবওয়েল ও একটি কাঠের চৌকি, ৫টি মোটরসাইকেল, মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ২০ বোতল, ৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৮০০ গ্রাম গাঁজা।

খুলনা রেঞ্জে কুষ্টিয়ায় পৃথক অভিযান

এদিকে খুলনা রেঞ্জের কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পৃথক অভিযানে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) ফয়সাল মাহমুদ জানান, চরের গভীরে থাকা দুটি অস্থায়ী তাঁবু, একটি স্পিডবোট, একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, ৫ টি মোটরসাইকেল ও অস্ত্র রাখার জন্য তৈরি দুটি বিশেষ চেম্বার উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এবং তদারক করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) শেখ জয়নুদ্দীন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কাকন বাহিনী বা অন্য কোনো বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কি না, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ফয়সাল মাহমুদ।
ডিআইজি শাহজাহান বলেন, “সন্ত্রাসীদের অন্যতম আস্তানা দৌলতপুর, তাই রাজশাহীর অভিযানের সমন্বয়ে কুষ্টিয়াতেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

অভিযান পূর্ব পেক্ষাপট

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে নিজ কার্যালয়েই গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর বালুমহাল দখলের জন্য দুটি বালুঘাটে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব চলে। ব্যাপক গুলি বর্ষণ, ককটেল নিক্ষেপ,  মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে পাঁচ জন আহত হন সে সময়। ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর মন্ডলপাড়া এলাকায় রাজু (১৮) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে একই ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম প্রামানিকের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পাঁচশ বিঘা মাঠে গরু লুটকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি চলে। ২২ মে, ২০২৫ ঈশ্বরদীর পদ্মানদীর সাড়াঘাট এলাকায় বালু উত্তোলনের সময় অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আকস্মিক গুলি ও লাঠিপেটায় ৭ জন জখম হয়। ৫ মে, ২০২৫  ঈশ্বরদীর বামনগাঁ নৌকা পারাপার ও সাড়া রানাখড়িয়া মহাল ঘাট এলাকায় দিনদুপুরে নদীপথে স্পিডবোট ও ট্রলারে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ আছে কাঁকন বাহিনীর বিরুদ্ধে।  ২৬ মে, ২০২৫ সাঁড়া ঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। ৫ জুন, ২০২৫  ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়াঘাটে কাঁকন বাহিনীর সদস্যদের ‘ফিল্মি স্টাইলে’ অস্ত্র মহড়া ও গুলিবর্ষণ, ট্রাক, প্লোল্ডার, মোটরসাইকেল ও বালু বিক্রির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া যায়।  ৯ জুন, ২০২৫ সাড়া ইসলামপাড়া বালুঘাটের আধিপত্য নিয়ে কাঁকন বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।  চার যুবলীগ কর্মীকে নৌকাসহ তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখমের করে তারা। ৫ জুলাই, ২০২৫  ভেড়ামারা উপজেলার তীররায়টা বালুঘাট এলাকায় কাঁকন বাহিনী স্পিডবোটে এসে গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন আহত হন। কৃষক আমিরুল ইসলাম আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন ওই ঘটনায়।  ১২ জুলাই, ২০২৫ দুপুরে কাঁকন বাহিনী স্পিডবোট নিয়ে ঈশ্বরদীর যুবদল নেতা টনি বিশ্বাসের বালুবোঝাই নৌকা থেকে চাঁদা দাবি। চাঁদা না পেলে ঘাটে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ জুলাই, ২০২৫  নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের পেছনে বিকাল ৩টায় আবারও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রাতে সাইফুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা ঘটনাস্থলে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে এবং অপহৃতকে স্পিডবোটে তুলে নিয়ে পালায়। ৬ অক্টোবর, ২০২৫ পাবনা ঈশ্বরদী নৌ চ্যানেলে দুপক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। ১৩ অক্টোবর পদ্মা নদীর সাড়াঘাট ও ইসলামপাড়া এলাকায় স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সশস্ত্র মহড়া হয়। এসময় গ্রামবাসীর দিকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা। ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ভোরে দৌলতপুরের কার্তিক কূল ও পশ্চিম পাড়ায় খুটির ঘাট এলাকার দুটি বাড়িতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা।
এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে গরু-মহিষ লুট, বালুমহাল দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্র পাচার ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান

এ সকল ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান, গ্রেপ্তার, মামলা দায়ের ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ২ জুন, ২০২৫ সেনাবাহিনী ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মসলেমপুর গ্রামে অভিযান চালায়। সে সময় তারা একটি পাকিস্তানি  পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার। ১১ জুন, ২০২৫ ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ নদীতে অভিযান চালিয়ে কাকন বাহিনীর ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এবং দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। ১৭ জুলাই, ২০২৫ সেনাবাহিনীর পাবনা ও নাটোর ক্যাম্প যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে কাকনের ভায়রা-ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার, তিনটি বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদক, ১২ লাখ টাকা ও চাঁদাবাজির হিসাবের খাতা উদ্ধার করা হয়। ৮ অক্টোবর, ২০২৫  দৌলতপুরে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টু হত্যা মামলার আসামী লালন ওরফে শুটার লালনকে বৈরাগীরচর এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী একাধিকবার পদ্মার চর,  ভেড়ামারা ও দৌলতপুর অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে। বিভিন্ন সময় অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা, ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত সামগ্রী জব্দ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় সুবিধাভোগী রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় থাকার অভিযোগ থাকায় শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকে এখনও ধরে পড়েননি।

সাম্প্রতিক মামলা

২৯ অক্টোবর, ২০২৫ মন্ডল বাহিনীর সদস্য নিহত আমান মন্ডলের বাবা মিনহাজ মন্ডল ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০–৩০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২ নভেম্বর, ২০২৫ কাকন বাহিনীর সদস্য নিহত লিটন হোসেনের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মন্ডল বাহিনীর ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০–১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

সম্পাদনায় : রাশিদুল ইসলাম রাশেদ

সাব এডিটর, প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.