এই সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে আমার পরিবারকে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে – রাজন

প্রাপ্তি প্রসঙ্গ ডেস্ক :

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য ও প্রয়াত যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের ছেলে ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন বলেছেন, প্রাথমিকভাবে যে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সেটিই চূড়ান্ত নয়। আমি দলের প্রতি আস্থাশীল। আমি লালপুর-বাগাতিপাড়ার মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আপনারা চাইলে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন নিয়েই আপনাদের সঙ্গে নির্বাচন করব, ইনশা’আল্লাহ। সেই বিশ্বাস আমার আছে।
আমি দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছিলাম। সিন্ডিকেটকে ভাঙতে চেয়েছিলাম, এই সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে আমার পরিবারকে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে।”
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর, ২০২৫) বিকেলে লালপুর উপজেলার গোপালপুর নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুল মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এই ভিপি আরও বলেন,“বাংলাদেশে আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর গণতন্ত্রহীন সময় অতিক্রম করেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী আপসহীন নেত্রী।”
তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা এমন যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে নেওয়ার সুযোগও নেই। অথচ একটি সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ভাতা ও কার্ড বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে, নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দোয়ার অনুষ্ঠানে আসতে বাধা দিয়েছে। তারা কখনো বিএনপি হতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, লালপুর বাগাতিপাড়ার ভবিষ্যৎ কি হবে, লালপুর – বাগাতিপাড়া কিভাবে চলবে, সেটা লালপুর – বাগাতিপাড়ার জনগণই ঠিক করবে। কোন বহিরাগতদের তদবির ও প্রেসক্রিপশনে চলবে না।
একটি মহল ছাত্রদল ও বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করছে এমন অভিযোগ করে তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে রাজন বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সৈনিক ওসমান হাদীকে মাথায় গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। স্বাধীন দেশে আমরা এমন পরিস্থিতি দেখতে চাইনি। গণঅভ্যুত্থানের পর ভেবেছিলাম মানুষ মুক্ত পরিবেশে শ্বাস নিতে পারবে। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি। যতদিন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হবে, ততদিন জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে। যদি আপনারা পাশে থাকেন, তাহলে লালপুর-বাগাতিপাড়াকে দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসমুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।”
লালপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন—লালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার পারুল, দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম লুলু, নাটোর জজকোর্টের আইনজীবী ফিরোজ হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম আলী, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল হক বিপ্লব, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক কালু, মজনু পাটোয়ারী, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা ভূবন, সাকিবুল ইসলাম সুলভ ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রায়হান কবির সুইটসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

সম্পাদনা: রাশিদুল ইসলাম রাশেদ/ উপসম্পাদক /প্রাপ্তি প্রসঙ্গ /১২-০৬