
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নাটোরের লালপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চলমান ডেভিলহান্ট ফেজ-২ অভিযানে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২১ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মো. আব্দুস সামাদ এর ছেলে।
লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিজ বাড়ি থেকে তোফাজ্জল হোসেন তোফাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবর রহমান বলেন, বিলমাড়িয়া স্টেডিয়ামে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। উপজেলায় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ এবং সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর বিকেলে বিলমাড়িয়া ইনডোর স্টেডিয়ামে বিলমাড়িয়া সুপার লীগ ম্যাচ চলাকালে পুলিশ সাহিদ আলী নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরান। কিন্তু সে সময় চাপ প্রয়োগ করে পুলিশের কাছ থেকে ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছাত্রলীগ কর্মী সাহিদ উপজেলার বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ এর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত।
এর আগে উপজেলার বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে সংঘটিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার আড়বাব ও দুয়ারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান ডেভিলহান্ট পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানের অংশ হিসেবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কচুয়া গ্রাম থেকে মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ও আড়বাব ইউনিয়নের কচুয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি (৫০) এবং রাত আনুমানিক ২টার দিকে দুর্গাপুর গ্রাম থেকে মোখলেসুর রহমান মোল্লার ছেলে ও দুয়ারিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মোল্লাকে (৪০) আটক করা হয়।
গত ৩১ মার্চ উপজেলার বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর (চিনি বটতলা) ঈদগাহ এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষন করে। এতে বিএনপি কর্মী মোঃ শরিফুল ইসলাম সুজাতসহ ৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই দিন রাতে গুলিবিদ্ধ বিএনপি কর্মী বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম সুজাতের বাবা মো. আরজেল আলী বাদি হয়ে লালপুর থানায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদনা : রাশিদুল ইসলাম রাশেদ /উপসম্পাদক/ প্রাপ্তি প্রসঙ্গ/২১-০৩