বিশেষ প্রতিনিধি:
নির্মানাধীন আইসব্রেকার ‘রাশিয়া’ তে ব্যবহারের জন্য প্রথম নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরের কাজ সম্পন্ন করেছে রসাটম। RITM-৪০০ রিয়্যাক্টরটি এজাতীয় ক্ষুদ্র নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। আইসব্রেকারটিতে এজাতীয় দু’টি রিয়্যাক্টর বসানো হবে। পরবর্তী প্রজন্মের নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর থাকার ফলে আইসব্রেকারটি চার মিটার পুরু বরফ কেটে অগ্রসর হতে পারবে। রসাটমের মিডিয়া উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি রিয়্যাক্টরটির সফল নির্মানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করেন রুশ ফেডারেশনের কাউন্সিল অফ ফেডারেল এসেম্বলীর চেয়ারম্যান ভ্যালেন্তিনো মাদভিয়েনকা এবং রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
‘রাশিয়া’ এর দুটি জওRITM-৪০০ রিয়্যাক্টরের নামকরন করা হবে দুজন রুশ জাতীয় বীর- ইলিয়া মুরুতমেটস এবং দোবরিনিয়া নিকিতিচ এর নামানুসারে।
আলেক্সি লিখাচেভ জানান যে, “রুশ আইসব্রেকার বহর, রসাটম এবং রাশিয়ার জন্য RITM-৪০০ এর নির্মান একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। অত্যন্ত ক্ষমতাশালী রিয়্যাক্টরগুলো আইসব্রেকারটিকে উত্তর মেরুর প্রতিকূল পরিবেশে আরও সাবলীলভাবে চলাচলের জন্য সহায়ক হবে”।
রসাটমের যন্ত্রনির্মান বিভাগের প্রধান ইগোর কতোভ বলেন, “কিছুদিনের মধ্যেই আমরা দ্বিতীয় RITM-৪০০ রিয়্যাক্টরের কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। অতঃপর দুটি ইউনিটকে আইসব্রেকার জাহাজে স্থাপনের জন্য শীপইয়ার্ডে পাঠানো হবে। রাশিয়ার পারমাণবিক শিল্পের আট দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে রসাটমের যন্ত্রনির্মাণ বিভাগের পক্ষ থেকে এটি হবে বিশেষ উপহার। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে উত্তর মেরু সমূদ্র পথের উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে”।
রুশ নব প্রজন্মের আইসব্রেকারে ব্যবহৃত হবে RITM-৪০০ রিয়্যাক্টর। এটি RITM-২০০ এর উন্নত ভার্সন এবং এর থার্মাল পাওয়ার হবে ৩১৫ মেগাওয়াট, যা রিয়্যাক্টরিটিকে বিশ্বের সকল মেরিন রিয়্যাক্টরগুলোর তুলনায় সর্বাধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। রাশিয়াই বিশ্বের একমাত্র দেশ যাদের একটি নিউক্লিয়ার আইসব্রেকার বহর রয়েছে। বর্তমানে এই বহরে আইসব্রেকার সংখ্যা আটটি।
রাশিয়া ২০২৫ সালে তাদের পারমাণবিক শিল্পের ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। ১৯৪৫ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। বিশেষ এই ঘটনাকে উদযাপনের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আন্তর্জাতিক ফোরাম ‘ওয়ার্ল্ড এটমিক উইক’।