নিজস্ব প্রতিবেদক:
রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের অধীনস্থ আফ্রিকান্তভ এক্সপেরিমেন্টাল ডিজাইন ব্যুরো সম্প্রতি RITM-200 পরমাণু রিয়্যাক্টরের জন্য যন্ত্রাংশ তৈরিতে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি লাভ করেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথম নির্মিত যন্ত্রাংশটি হলো- টার্মিনাল বক্স, যা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাম্পিং যন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রসাটমের মিডিয়া উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আফ্রিকান্তভ এক্সপেরিমেন্টাল ডিজাইন ব্যুরোর প্রধান প্রযুক্তিবিদ ইউরি ভিটনভ তার মন্তব্যে বলেন, “RITM-200 রিয়্যাক্টরের জন্য যন্ত্রাংশ তৈরিতে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির মাধ্যমে সমুদ্রে ব্যবহৃত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ পরমাণু শিল্পের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির পথ সুগম হলো”।
রসাটম ফুয়েল ডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত এডিটিভ টেকনলজি বিজনেস বিভাগের পরিচালক ইলিয়া কাভেলিশভিলি বলেন, “থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি চালুর ফলে ডিজাইন এবং উতপাদনের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ কার্যকর জ্যামিতিক ডিজাইন এবং উন্নততর কার্যক্ষম বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করা সম্ভব। থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে যন্ত্রের দক্ষতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এর ওজন ও ব্যয় হ্রাস পায়”।
রাশিয়ার পরমাণু শিল্প প্রথমবারের মতো থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরমাণু রিয়্যাক্টরের যন্ত্রাংশ উৎপাদন করলো। ইতোপূর্বে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বেঞ্চ টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট, প্রসেস ট্যুলিং এবং প্রোটোটাইপ মডেল তৈরির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রযুক্তিটি ব্যবহারের ফলে যেসকল অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে যন্ত্রাংশের কার্যকাল বৃদ্ধি, অধিকতর আর্থিক কার্যকারিতা এবং কম জনবলের ব্যবহার।
থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ডিজাইন অনুযায়ী একের পর এক লেয়ার বা স্তর যুক্তের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক বস্তু তৈরি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে যেসকল সামগ্রী ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক, রেজিন, স্টিল ইত্যাদি। এই প্রযুক্তিটি এডিটিভ প্রযুক্তি হিসেবেও পরিচিত।