নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)-২ গত অর্থ বছরে (২০২২-২০২৩) লোকসান দিয়েছে ৪২ কোটি ৮১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৭ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েক বছর ধরে ঘাটতিতে থাকলেও এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ লোকসান দিয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর ২০২৩) এ তথ্য নিশ্চিত করে সমিতি কর্তৃপক্ষ।
পবিস-২ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর সমিতি বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। গত ৪২ বছরে প্রতিষ্ঠানটি চার হাজার ৮৫৮ দশমিক ৭২১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণ করেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিসহ এক লাখ ৩৫ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিন হাজার ৬৩০টি সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ফলে ৬১ হাজার ১০১ একর জমি সেচ সুবিধা পাচ্ছে। ফলে শুধু বোরো মৌসুমে এক লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৬ টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হচ্ছে। ইতোমধ্যে নাটোর ও রাজশাহী জেলার ছয় উপজেলার সাত পৌরসভা ও ৭১৫ গ্রামের চার লাখ ১৪ হাজার ২৯৫ জন গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করেছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত শতভাগ এলাকাকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে।
নাটোর পবিস-২ লালপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. রেজাউল করিম বলেন, গ্রাহকদের নিয়ে উঠান বৈঠক, সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপনের জন্য আগ্রহী কৃষক নির্বাচন, পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম, নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহার ও সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সুবিধা, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, সংযোগ বিচ্ছন্ন কার্যক্রম, জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের কারণে লালপুর জোনাল অফিস বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয়ে লোকসান এড়িয়ে লাভ করেছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)-২-এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোমিনুল ইসলাম বলেন, পিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে প্রতি ইউনিটে ১ টাকা ২৫ পয়সা হারে লোকসান হয়। পাশাপাশি সিস্টেম লস, পরিচালন ব্যয়, ট্রান্সফরমার, মিটার ও তার চুরির কারণে এ মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে।