শনিবার | ২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১

প্রতারণা মামলার আসামী আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার

নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুর থেকে সরকারি কর্মচারীর পরিচয়ে মানব পাচারকারী, ধর্ষণ ও প্রতারণা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর ২০২৩) রাতে উপজেলার লালপুর বাজারস্থ হাজী মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামের মৃত আয়নাল হক ওরফে কুতুব উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। রাজবাড়ীর পাংশার নারায়নপুর দত্তপাড়ার ইমদাদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
র‌্যাব-৫, রাজশাহীর নাটোর ক্যাম্প সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক (সিনিয়র সহকারি পরিচালক) সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমন (৪৫) পরিচয় গোপন করে প্রতাড়িত নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে একাধিক বার ধর্ষণ ও পরবর্তীতে প্রতারণামূলক নাটক সাজিয়ে বিবাহ করেন। পরে পতিতালয়ে নিয়ে যৌনকর্মী হিসেবে টাকার বিনিমেয়ে পাচারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে প্রতাড়িত নারীর মা বিষয়টি জানতে পেরে বাদী হয়ে রাজবাড়ীর পাংশা থানায় ধর্ষণ, প্রতারণা এবং পাচার সংক্রান্তে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার পর হতেই আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমন আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমনকে গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-৫ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার লালপুর বাজারস্থ হাজী মার্কেট এলাকা থেকে আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি রাজবাড়ীর পাংশা থানার মামলা নং-১১, তারিখ-১৮/০৯/২০২৩, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-০৩) এর ৯ (১); তৎসহ ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন এর ৮ ধারা; তৎসহ ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১৭০/৪০৬/৪২০/৩৮০/৫০৬ (২) (১০৯) ধারা এর এজাহারনামীয় আসামী। এ সময় তার নিকট হতে ৩টি মোবাইল, ৫টি সীমকার্ড ও নগদ ৮ হাজার ৭২০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সঞ্জয় কুমার সরকার আরও বলেন, অভিযুক্ত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরকারি কর্মচারীর (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার) পরিচয়ে মানব পাচারকারী, ধর্ষণ ও প্রতারণার বিষয় অকপটে স্বীকার করেন। এটাকে তার পেশা বলে অবিহিত করেন। তাকে পাংশা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.