নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরের গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. হযরত আলী অবসর গ্রহণ করায় ওই কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মো. রফিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর ২০২৪) তিনি বিদায়ী অধ্যক্ষের নিকট স্থলাভিষিক্ত হন।
সাবেক অধ্যক্ষ মো. হযরত আলী নাটোরের লালপুরের চামটিয়া গ্রামে ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন । পিতা মরহুম সফের উদ্দিন মন্ডল ও মাতা মরহুম নেছামন। স্ত্রী মোছা. উম্মে আয়েশা। তাঁদের সন্তান মোছা. হাসিনা আক্তার ময়না, মোছা. উম্মে হাবিবা হিরা ও মো. আব্দুল ফাত্তাহ আকিব।
তিনি চামটিয়া-ভাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি, গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, গোপালপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৮৬ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৬০ সালে ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯০ সালে ১ জুলাই যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালে কলেজে উন্নীত হলে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯২৪ সালের ১৯ অক্টোবর অক্টোবর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি লালপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
নবাগত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামের জীবন বৃত্তান্ত:
নাটোরের লালপুরের গৌরীপুর গ্রামে ১৯৭০ সালের ২৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন ফুটবলার মো. রফিকুল ইসলাম। পিতা মরহুম জারজিস আলম মিয়া ও মাতা মরহুম তহমিনা বেগম। স্ত্রী সালেহা খাতুন।
তিনি গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি, গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রংপুরের বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৮ সালে তিনি গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০২১ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে কর্মরত আছেন।
তিনি গৌরীপুরের কোচ আব্দুর রাজ্জাক মালিথার কাছে ফুটবলে হাতেখড়ি নেন। পিডব্লিউডির শ্রীলংকার কোচ পাকির আলী এবং জাতীয় দলের কোচ রাশিয়ার শৈয়বের নিকট প্রশিক্ষণ নেন।
তিনি ১৯৮৯ সালে অনুর্ধ-১৯ ফুটবল জাতীয় দলে, ১৯৮৮-১৯৯০ দ্বিতীয় বিভাগ লীগ (চলন্তিকা ক্রীড়া চক্র), ১৯৯০-১৯৯৫ প্রিমিয়ার লীগ (পিডব্লিউডি), ১৯৯৬-১৯৯৮ প্রথম বিভাগ লীগ (মুসলিম ইনস্টিটিউট), ১৯৯০-১৯৯৭ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দল, ১৯৮৭-১৯৯৮ নাটোর জেলা দল এবং ১৯৮৮-১৯৮৯ এ ঢাকা প্রথম বিভাগ লীগে দ্বিতীয় সেরা গোলদাতার (১৭টি) গৌরব অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে ভারতের জলপাইগুড়িতে স্বাধীনতা দিবস ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬টি) হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৮৮-১৯৯৮ পর্যন্ত রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও রংপুর জেলা প্রথম বিভাগ লীগ খেলেন। ১৯৯১ সালে তিনি সিলেট ভিক্টোরিয়া ক্লাবে খেলেন।
তিনি গৌরীপুর খেলোয়াড় কল্যাণ সংঘের ক্রীড়া সম্পাদক ও প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লালপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমান সদস্য হিসেবে আছেন।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, ২০০১ সালে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি ঈশ্বরদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।