ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
সঙ্গীত পরিচালক ও ব্যবসায়ী হাসিন হাসনাত হৃদয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তরুণ প্রজন্মের গায়িকা মৌমিতা তাশরিন নদী। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পাঁচ মাস পর সম্প্রতি জনসমক্ষে তা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সঙ্গীত শিল্পী মৌমিতা তাশরিন নদী বলেন, নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় ২০০৪ সালে তাঁদের প্রথম পরিচয়। এরপর কাজের সুত্রে ২০১৫ সালে আবার দেখা। পেশাদার সঙ্গীত জীবনে একসঙ্গে ও হৃদয়ের পরিচালনায় ৯টি গান গেয়েছেন এ পর্যন্ত। ৮ মাস প্রেমের সম্পর্কের পর পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে একজন সুন্দর মনের মানুষ হিসেবে উপলব্ধি করে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
নদী বলেন, আরও পাঁচ মাস আগে তাঁরা বিয়ে করলেও গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক স্টেটাসে বিষয়টি জানান দেন।
নদীর মা সরকারি চাকুরিজীবী (অবসরপ্রাপ্ত) ও সাহিত্যিক শিরিন আখতার জাহান এবং বাবা প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ী মো. গোলাম মোর্তজা বুলবুল বলেন, আমাদের একমাত্র মেয়ে বড় হয়েছে। অত্যন্ত ঘরোয়াভাবে বিয়েটা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার চাপ রয়েছে। তাই, নদীর মাস্টার্স শেষ হলে পরবর্তীতে সময় সুযোগ বুঝে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
রাজশাহীর মেয়ে নদী এখন বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের একজন প্রিয় মুখ। ‘চ্যানেল আই’ সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় ২০০৯ সালে দ্বিতীয় রানার আপ হন নদী। উচ্চশিক্ষা অর্জনে ২০১৩ সালে ঢাকায় পাড়ি জমান। তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘নদী’ প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালে। অ্যালবামে দশজন ভিন্ন গীতিকার ও নয়জন সঙ্গীত পরিচালকের সাথে কাজ করেন। চলচ্চিত্র এবং অ্যালবামে অসংখ্য গান গেয়েছেন। তাঁর বহু গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০১৩ সালে তার প্রথম মিউজিক ভিডিও ‘মুগ্ধতা’ প্রকাশ পায়। এরপর বহু সংখ্যক মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
নদী ১৯৯৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার বাড়ি নাটোরের লালপুরের মনিহারপুর গ্রামে। তিনি ঢাকায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা নিয়ে স্নাতক (সম্মান) শেষ করেছেন। এখন একই বিষয় নিয়ে আইইউবি-তেই স্নাতকোত্তর পড়ছেন।
তিনি ধ্যাততেরিকি, পোড়ামন ২ সহ ২০টির অধিক ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। চলচ্চিত্র ও নাটকের গান, মিউজিক ভিডিও করেছেন অসংখ্য, পেয়েছেন ৫০টির বেশি পুরস্কার। ‘নতুন কুঁড়ি’ চ্যাম্পিয়ন (২০০৪), ছায়ানট জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদে প্রথম স্থান (২০০৯), শাপলা কুঁড়ি, পদ্ম কুঁড়িসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন সঙ্গীত জীবনের শুরুতে। সম্প্রতি নিজের ব্যান্ড ‘ষ্ট্যান্ডএ্যালোন্স‘ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন।
তিনি স্টেজ ফর ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছেন।