নিজস্ব প্রতিবেদক :
খুলনার রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের পরিচালক (প্রধান প্রকৌশলী) মো. মশিউর রহমান ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছেন। এমডি পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ কুৎসা রটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নওপাজেকোর বর্তমান এমডির মেয়াদ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হচ্ছে। সেই হিসেবে গত ডিসেম্বরে এই পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। নিয়ম অনুযায়ী এমডি পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন মশিউর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, কাজের দক্ষতা থাকা সত্বেও এর আগেও ঈর্ষান্বিত হয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসররা বিএনপি ও জামাতের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার অপবাদ দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট করে ও মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে ও দুর্নাম রটিয়ে বিভিন্ন সময় তাঁর পদোন্নতিতে বাধা দিয়ে তা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। এমনকি তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানেও সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ‘সংকটে বিদ্যুৎ খাত, খোরশেদ সিন্ডিকেটেই যাচ্ছে নওপাজেকো? এমডি পদের শর্টলিস্টে বিতর্কিত মশিউর’ শিরোনামে ‘কালবেলা’ পত্রিকায় তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মূলত এমডি পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণাত্মক নিউজ করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, খুলনার রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) হিসেবে তিনি নিজ দক্ষতায় ৭০২.১১ মিলিয়ন ডলারের গৃহীত প্রকল্প মাত্র ৪১৪.২৬ মিলিয়ন ডলারে বাস্তবায়ন করেছেন। অর্থাৎ ৪১ শতাংশ বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় হয়েছে। যা দেশের ও নওপাজেকো-র জন্য বড় অর্জন।
নর্থ-ওয়েস্ট কোম্পানির রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে মো. মশিউর রহমান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা হিসেবে খুলনা ১৫০ মেগাওয়াট প্রকল্পে কর্মকর্তা ছিলেন। ২০০৯ সালে কোম্পানির কার্যক্রম শুরু হলে প্রেষনে নর্থ-ওয়েস্ট কর্তৃপক্ষ কৌশলগত কারণে তাকে কোম্পানিতেই রাখেন। ওই সময় তিনি বিউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রেষণে থাকা অবস্থায় বিউবোর বেতনে ৭ বছর কর্মরত থাকায় তাঁর বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়।
তাঁর সময়ে এডিবির অর্থায়নে খুলনা ১৫০ মেগাওয়াট ও খুলনা ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মিত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকালে বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্র প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবধি কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি।
প্রকল্পের কাজে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী হওয়ার কারণে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (নওপাজেকো) কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) তাঁকে নিয়ে গর্বিত। তাঁর দক্ষতাই নওপাজেকো প্রকল্পগুলো খুব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে উন্নয়নের জন্য তার মেধা ও শ্রম দিয়ে কাজ করেছেন। এই দেশে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য তাঁর মতো অভিজ্ঞ প্রকৌশলী অত্যন্ত প্রয়োজন।