সবার আগে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জনগণ, জনগণের স্বার্থ- পুতুল

নাটোর প্রতিনিধি:
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য ও নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, শেখ হাসিনার ১৭ বছরের মাফিয়া তন্ত্র আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, সংবিধানকে কেটে ছিঁড়ে রক্তাক্ত করেছে। আমাদের ভাইকে গুম করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের সন্তানদেরকে গুলি করেছে, পঙ্গু করেছে। আমরা হাসিনার মাফিয়া তন্ত্রের প্রত্যেকের বিচার করতে চাই। বাংলাদেশকে পরিবর্তন করে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে আমরা সকলে একত্রে বলতে পারবো- সবার আগে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জনগণ, জনগণের স্বার্থ।
রোববার (১৫ জুন ২০২৫) নাটোরের লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুতুল আরও বলেন, তারেক রহমানের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। লালপুর-বাগাতিপাড়ার মানুষের জীবনমান ও ভাগ্যোন্নয়ন এবং মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্ত করার জন্য আমি আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত কাজ করে যাবো। আপনাদের নেতা ফজলুর রহমান পটলের স্বপ্নের লালপুর-বাগাতিপাড়া গড়ার অসমাপ্ত কাজ শেষ করবো ইনশাআল্লাহ।

গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোলামের সভাপতিত্বে এবং লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ছিদ্দিক আলী মিষ্টুর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুনার রশিদ পাপ্পু।
সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন, সাবেক মন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মিণী সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আমার মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুলকে দেখতে চায়। আমার দলের সকল নেতাকর্মীদের পুতুলের পাশে থাকার আহবান করছি।’ তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল যেমন আমৃত্যু আপনাদের সাথে থেকেছেন। আমি বিশ্বাস করি উনার মেয়েও আমৃত্যু আপনাদের সাথে থাকবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের ছোট ভাই মিজানুর রহমান সোনা, বড় জামাতা নাজমুল ইসলাম সুমন, ছোট ছেলে ইফতেখার আরশাদ প্রতিক, বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুয়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম হামিদুর রহমান বাবু, ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রন্জু, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুস সালাম, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, লালপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রায়হান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওয়ালিউর রহমান কিরন, লালপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আশিকুর রহমান আশিক, লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ডা. রফিকুল ইসলাম, লালপুর উপজেলা যুবদল নেতা গোলাম মোস্তফা তুহিন, লালপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান বাপ্পী, লালপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, লালপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল বাশার, লালপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য বুলেট খান, নাটোর জেলা ছাত্রদলের সদস্য শিরফান সানা পিন্টু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহব্বত আলী মেম্বার, উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক আশিকুর রহমান মুক্তি, এবি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবেদ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান মতি, নাটোর জেলা জিয়া মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক বুলেট খান, লালপুর উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম আকাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদ হাসান রবিন, এবি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফ আলীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল সহকারে যোগ দেন। বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী এক মহাসমাবেশে রূপ নেয়। জনসভার মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদগুলোতেও লোকসমাগম দেখা যায়। অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ ও গণমানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ, যা লালপুরের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দেয় বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।