নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে হালুডাঙ্গা মহাশ্মশান কালিমন্দিরে প্রতিমা দুষ্কৃতিকারীরা ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই ২০২৫) দিবাগত রাতে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের হালুডাঙ্গা কালুপাড়া এলাকার মহাশ্মশান কালিমন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই ২০২৫) নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন (পিপিএম) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় নাটোর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. একরামুল হক (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শোভন চন্দ্র হোড়, যৌথবাহিনীর প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন মো. আরাফাত হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুজ্জামানসহ আইনশৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
মন্দিরের পুরোহিত মানিক চন্দ্র বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় মন্দিরে সন্ধ্যা বাতি জ্বালিয়ে মন্দিরের কেঁচি গেটসহ মন্দিরের প্রবেশ পথে তালা লাগিয়ে তিনি বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার সকালে জানাতে পারেন, মন্দিরের পাশ দিয়ে স্থানীয়রা মাঠে যাওয়ার সময় লোহার গেইট লাগানো তালাবদ্ধ মন্দিরের ভেতরে কালি প্রতিমাটিকে ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তারা ধারনা করছেন কে বা কারা রাতের অন্ধকারে মন্দিরের ভেতরে কালি প্রতিমাটি ভেঙে মেঝেতে ফেলে রেখে গেছে।
মন্দির কমিটির সভাপতি নরেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, সন্ধ্যার সময় মন্দিরের পুরোহিত মানিক চন্দ্র সন্ধ্যা বাতি জ্বালিয়ে মন্দিরে তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার সকালে তাঁর ভাতিজা অর্পন কুমার সকালে মন্দিরের পাশে দিয়ে গৃহপালিত পশুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যাওয়ার সময় লোহার গেইট লাগানো তালাবন্ধ মন্দিরের ভিতরে ১০ ফুট উচ্চতার কালি প্রতিমাটিকে ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি তাকেসহ স্থানীয়দেরকে অবহিত করেন। তিনিসহ স্থানীয়রা এসে দেখেন, তালাবদ্ধ মন্দিরের ভিতরে কে বা কারা মাটির তৈরি কালি প্রতিমা ভেঙ্গে মন্দিরের মেঝেতে ফেলে রেখে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা মন্দির তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে লালপুর থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, মন্দিরটি মাঠের মধ্যে ও শ্মশান ঘাট সংলগ্ন হওয়ায় সেখানে কোন পাহারাদার থাকেন না। রাতের অন্ধকারে যারা প্রতিমা ভেঙ্গে রেখে গেছে, আমরা ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন (পিপিএম) বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত করে আটক ও আইনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।