নাটোর প্রতিনিধি :
ভুটানে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে ভুটান গেছেন নাটোরের লালপুরের মৌমিতা খাতুন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় মৌমিতার বাবা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রওনা দিয়ে দুপুর ১২ টার দিকে ভুটানে পৌঁছেছে ২৩ সদস্যের স্কোয়াড বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল দল। ভুটানে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে নেপাল, ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ খেলবে। আগামী ২০ আগস্ট বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক ভুটানের বিপক্ষে। ২২ আগস্ট ভারত, ২৪ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে খেলবে।
মৌমিতা খাতুন নাটোরের লালপুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মো. মমিনুল ইসলাম ও মাতা লিপি বেগম। তিনি লালপুর কেএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে লালপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ফুটবলে হাতেখড়ি। ২০১৯ সালে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন, উপজেলা এবং নাটোর জেলা পর্যায়ে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২০২১ সালে জেএফএ কাপ রাজশাহীর পক্ষে রানার্সআপ হন। বাংলাদেশ গেম্স প্রতিযোগিতায় রাজশাহী থেকে জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান দখল করে ব্রোঞ্জ পদক পান।
পড়াশুনার পাশাপাশি বর্তমান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে অনুর্ধ-১৫ জাতীয় দলে খেলায় অংশগ্রহণে কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ নেন। নভেম্বর মাসে জাতীয় পর্যায়ের খেলায় অংশগ্রহণ করেন। নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে খেলতে নেপালে অংশগ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের ২ মার্চ স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
মৌমিতার বাবা ইটের ভাটায় কাজ করেন এবং ভালো ফুটবলার ছিলেন। ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তার মেয়েকে ছোটবেলা থেকেই নিজেই ফুটবল খেলায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। মৌমিতা বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্টে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সেরা খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছিল। এছাড়া বর্তমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফুটবল দলে খেলছে।
মৌমিতার পিতা মোমিনুল ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলার প্রতি তার অন্যরকমআগ্রহ ছিল। আমারও ইচ্ছে ছিল মেয়ে একসময় লাল সবুজের জার্সিতে খেলবে। অবশেষে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৭ তে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে মৌমিতা। এতে পিতা হিসেবে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।