
গত ৮ অক্টোবর “দৈনিক জনদেশ” পত্রিকার প্রথম পাতায় “শিক্ষা অফিসারসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্ক” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাটোরের লালপুর উপজেলার পালিদেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শীলা খাতুন।
প্রতিবাদ লিপিতে তিনি লিখেন, গত ৮ অক্টোবর, ২০২৫ “দৈনিক জনদেশ” পত্রিকার প্রথম পাতায় “শিক্ষা অফিসারসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্ক” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশশিত হয় যেখানে আমার নাম উল্লেখপূর্বক আমার বদলির আবেদনের প্রেক্ষাপটে কিছু মন্তব্য করা হয়েছে।
আমি বিনয়ের সঙ্গে জানাতে চাই, উক্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ছিল আমার অজ্ঞানতা বা নিয়ম সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণার কারণে বিভ্রান্তিকর, যা আমি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রদান করিনি। আমি স্বীকার করছি, বদলির অনলাইন আবেদনে বিদ্যালয় থেকে দূরত্বের তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আমার জানা ছিল না যে গুগল ম্যাপ অনুযায়ী দিতে হয়। যেটি পরবর্তীতে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক যাচাই করে আমার আবেদন বাতিল করা হয়। এটি সম্পূর্ণ আমার অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ছিল, এবং আমি নীতিমালার অস্পষ্ট ধারণার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কোন কর্মকর্তার প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোন অভিযোগ নেই এবং তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ আমার অফিসের বিরুদ্ধে সংবাদে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সেটি আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা এবং এতে তাদের কোন দায় নেই একথা আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি।
সাংবাদিক ভাই কে আমি বিষয়টি বললেও সেটা ছিল আমার একান্ত হতাশা ও না বোঝার বহিঃপ্রকাশ। আমি কখনোই চাইনি এর ফলে কোন শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মকর্তার সম্মানহানি হোক।
আশা করি আমার এ প্রতিবাদলিপি পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে সহায়ক হবে।
শীলা খাতুন
সহকারী শিক্ষক,
পালিদেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।