
নাটোর প্রতিনিধি:
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “লন্ডন থেকে তারেক রহমান যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তারই সফল সমাপ্তি ঘটেছে ৫ আগস্ট। দেশের ছাত্র–জনতা ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার হয়েছে।”
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নাটোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে উপশহর মাঠ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী দুলু বলেন, “আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে এখান থেকেই ধানের শীষের পক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করছি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি–জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হয়েছিল। সেই দিনই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “যদি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা না করতেন, তাহলে এই দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তিও স্থাপিত হতো না। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূত্রপাত জিয়া পরিবারের হাত ধরেই।”
দুলুর অভিযোগ, “গত দেড় যুগ ধরে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে অবমাননা করে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণ সেই স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেছে।”
২০০১ সালের নির্বাচনে নাটোর–২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত দুলু বলেন, “২৫ বছর ধরে নাটোরবাসী আবার আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইনশাআল্লাহ, ফেব্রুয়ারির মধ্যে রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে একটি মহল নতুন করে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে—কখনো পিআর পদ্ধতির কথা বলছে, কখনো গণভোটের কথা তুলছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জানে- অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তাদের অধিকার। সেটা যত দ্রুত হয় ততই ভালো। কোনো চক্রান্ত এবার সফল হবে না।”
আওয়ামী লীগের সমালোচনায় দুলু বলেন, “তারা কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন চাইনি। দিনের ভোট রাতে করে জনগণের টাকায় কানাডায় বাড়ি বানিয়েছে, দেশে রাজপ্রাসাদ গড়ছে। ক্ষমতার লোভে তারা অন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য ও নাটোর–২ আসনের সাবেক প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সদস্য শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, নাসিম উদ্দিন নাসিমসহ জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশ শেষে আলাইপুর উপশহর এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
সম্পাদনায় : রাশিদুল ইসলাম রাশেদ
সাব এডিটর, প্রাপ্তি প্রসঙ্গ