
নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের সক্রিয় দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে প্রাপ্তি প্রসঙ্গকে জানিয়েছেন লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. জহির উদ্দিনের ছেলে মো. ওয়াহিদ আলী সেন্টু (৩১) এবং মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. মাহমুদ হোসেন শাকিল ওরফে মাবুদ (৩৮)। শাকিলের বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় চাঁদাবাজির মামলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় একাধিক হানি ট্র্যাপ চক্র সক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করলেও চক্রের সদস্যরা এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল।
গত রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গোপালপুরের স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমানকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে রাখে একটি চক্র। এ সময় তার কাছে থাকা মোটরসাইকেলটি হাতিয়ে নেয় তারা। পরে তার পরিবারের কাছে ফোন করে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে চক্রটি।
হাবিবুর রহমানের পরিবারের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায় তারা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতে গোপালপুর বাজার এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, হানি ট্র্যাপে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নারীদের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে লালপুরে একাধিক হানি ট্র্যাপ চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় লোকজনকে প্ররোচিত করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। কিন্তু মান সম্মানের ভয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন না। তবে এক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা ছিলেন ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান। তিনি এ ঘটনায় থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি চক্রের দুই সদস্যকে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদনায় : রাশিদুল ইসলাম রাশেদ
সাব এডিটর, প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ