নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
আরিচা ঘাট লঞ্চ টার্মিনালে লঞ্চ ও ফেরীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে এক শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪) ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি-ডাস্ এবং বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট-বাটা’র যৌথ উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় আরিচা ঘাট লঞ্চ টার্মিনালে‘‘নৌ-পরিবহনকে ধূমপান মুক্ত করার লক্ষ্যে লঞ্চ ও ফেরীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও করণীয়”- শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাস্ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআই ডাব্লিউটিএ’র আরিচা নদী বন্দর উপ-পরিচালক এসএম সাজ্জাদুর রহমান, । সভায় আয়োজক সংগঠনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডাস্’র তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পলিসি এনালিস্ট আসরার হাবীব নিপু। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন লঞ্চ মালিক মো: মাসুদুর রহমান, লঞ্চ মালিক সমিতির মো. জুয়েল রানা, স্পীডবোড নেতা এসএম রুস্তম আলী, ঘাটপরিচালক মো: লিটন মিয়া, টার্মিনাল ইনচার্জ মো: আফসার উদ্দিন, লঞ্চ মালিক মো: আব্দুলহাই,বিআইড ব্লিউটিএ’র মো: আনোয়ারুল হক, ঘাটই জারাদার এর পক্ষে মো: আশরাফ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সচেতনতার জন্য পরিবারের ভিতর থেকে সর্বপ্রথম উদ্যোগী হতে হবে, যুব সমাজের জন্য তামাক মুক্ত সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে সমাজের সব পরিবেশ থেকে ধূমপানের উচ্ছেদ সম্ভব। তিনি বলেন নৌ-পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট শক্তিশালী আইন থাকা সত্ত্বেও আমরা আইন মানিনা। আইনের প্রতি সকলেরই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নৌ-পরিবহনের সকল কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যদেরকে যার যার অবস্থান থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে অধিক মনোযোগী হওয়ার আহবান করেন। পাবলিক প্লেস হিসেবে পরিচিত এই লঞ্চ টার্মিনালকে তিনি ধূমপানমুক্ত করার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন, যা অবিলম্বে এই ঘাটের সকল শ্রেণীর লোকের সমন্বয়ে বাস্তবায়িত হবে।এছাড়া লঞ্চের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন বা অন্য যেকোন স্থানে সিগারেট বিক্রী বন্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
এসময় বক্তরা আরো বলেন সরাসরি বাধা দিয়ে নয় বরং ধূমপায়ীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে পাবলিক প্লেস ও নৌযানে ধূমপানের বিক্রি ও সরবরাহ বন্ধ করতে হবে এবং ধূমপান বন্ধে প্রত্যেকের সহযোগিতা মূলক মনোভাব পোষণ করতে হবে।
এছাড়া ঘাটের নানা দায়িত্বে নিযুক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীবৃন্দ সভায় তাদের সুচিন্তিত বক্তব্য তুলে ধরেন। তারা তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আরিচা-কাজীরহাট লঞ্চ রুটের সকল লঞ্চের চালক, কর্মচারী ও মাষ্টারদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং লঞ্চে তামাক ও সিগারেট বিক্রয় বন্ধ করার মধ্য দিয়ে সকল যাত্রীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।