বৃহস্পতিবার | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

বাউয়েটে আন্ত: হল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বড়াল হল

কাদিরাবাদ সেনানিবাস, নাটোর:

বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এর স্কাইলাইট হলে বাউয়েট ডিবেটিং সোসাইটি এর উদ্যোগে আন্ত: হল বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রোববার (১০ মার্চ ২০২৪) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউয়েট এর মাননীয় উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: শাহীনুর আলম, এসপিপি, পিইঞ্জ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়। বাউয়েট ডিবেটিং সোসাইটি তার বর্তমান ও প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি প্রফেসর ড. মো: শহীদুল ইসলাম সাহেবের হাত ধরে জাতীয় পর্যায়ে ও ঘরোয়া বিতর্কে সবসময় ভালো করছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবসময় বাউয়েট শিক্ষার্থীদের বিতর্কে সফলতার খবর শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকি। এছাড়া তিনি তার বক্তব্যে আন্ত: হল বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য বাউয়েট ডিবেটিং সোসাইটি কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।”
বিতর্কের বিষয় ছিল, “ক্যাম্পাসের স্বাধীনতাই শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়ক”। এর পক্ষে অবস্থান করে বনলতা হল ও বিষয়টির বিপক্ষে অবস্থান করে বড়াল হল-১ দল। সম্মানিত বিচারকমন্ডলীগণের রায় এবং তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন এর মাধ্যমে বড়াল হল-১ দল বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং রানার্স আপ হয় বনলতা হল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাউয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সম্মানিত সভাপতি ও আইন অনুষদের ডিন এবং আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো: শহিদুল ইসলাম বাউয়েট ডিবেটিং সোসাইটি ও এর কাজ সম্পর্কে সাম্যক আলোচনা পূর্বক, বিতর্কের বিষয় ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে প্রতিযোগীদেরকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, “বিতর্ক হোক সত্যের, বিতর্ক হোক মুক্তির” এই ¯েøাগানকে সামনে রেখে গত ২০১৬ সালে বাউয়েট ডিবেটিং সোসাইটি যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা বিতর্কে বিভিন্ন সাফল্য অর্জন করেছি। আমি আজকের আয়োজনের সাফল্য কামনা করছি।
উক্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, মো: সামসুল আল-আমিন, মাননীয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নাটোর। তিনি বলেন, বিতর্ক একটি সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যম। বাউয়েট এ এমন সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার ব্যাবস্থা আছে জেনে ভালো লাগছে। এছাড়া বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ড. তাসমিনা খন্দকার, রসায়ন বিভাগ এবং মো: মাসুদার রহমান, সহকারী অধ্যাপক, গণিত বিভাগ, বাউয়েট। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রিথি মারজিয়া।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন এবং সম্মানিত বিচারকমন্ডলীদের হাতে সম্মাননা স্বারক তুলে দেন এবং ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিনগণ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বড়াল ও বনলতা হলসহ বিভিন্ন হলের প্রভোস্টগণ, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বাউয়েট এর সকল বিভাগের সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.