বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদীর পানি শূন্যতায় বঞ্চিত হচ্ছেন হালকা সেচ প্রকল্পের আওতার কৃষকরা

 নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদীর পানি শূন্যতায় সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন বাশঁবাড়িয়ার হালকা সেচ প্রকল্পের আওতার কৃষকরা।
এতে সময়মতো সেচ দিতে না পারায় ৩০০ বিঘা জমির ফসলের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
সেচ বন্ধ থাকার জন্য কৃষকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। শিগগিরই সমস্যার সমাধান করে সেচ চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে কৃষকদের পানির সমস্যা সমাধানের লক্ষে মঙ্গলবার সকালে  এক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনায়  বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  ডা: ভবসিন্ধু রায়ের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো: আব্দুল ওয়াদুদ,উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত মো: রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড নাটোর,মো: সিদ্দিকুর রহমান (জিএম) নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১, মোঃ সাজ্জাদ হোসেন নির্বাহী প্রকৌশলী বিএডিসি নাটোর, মোঃ মনজুর রহমান এজিএম বাগাতিপাড়া সাব জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস নাটোর -১,মোসা: সাবরিন আক্তার সহকারি  সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (বাপাউবো) নাটোর, মোছা: রোজিনা খাতুন উপর সহকারি প্রকৌশলী বাপাউবো নাটোর, মো:লোকমান হাকিম,(সভাপতি)২নং জামনগর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ, মো: মাজেদ আলী (সাধারণ সম্পাদক) ২নং জামনগর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ,মো: আফাজ উদ্দিন (সভাপতি) বাঁশবাড়িয়া হালকা সেচ প্রকল্প, মোঃ নজরুল ইসলাম সভাপতি, বাঁশবাড়িয়া হালকা সেচ প্রকল্প,সাইদুর রহমান, বেল্লাল মাস্টার, নিউটন আহমেদ,আক্তার হোসেন,  সদস্য বাঁশবাড়িয়া হালকা সেচ প্রকল্প, প্রমূখ।
আলোচনায় বাঁশবাড়িয়া হালকা সেচ প্রকল্পের কৃষকদের দাবি, বড়াল নদীতে পানি শূন্য  আমাদের জমি জমাতেও পানি নেই, প্রতিবারের মতো এবার বোরো ধান করতে পারি নাই পানির অভাবে, বর্তমানে আমাদের ভুট্টা আছে জমিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যদি আমরা পানি না পাই তাহলে আমাদের রাস্তায় বসতে হবে।
প্রকল্পের আওতায় জমে জমা হওয়ায় আশেপাশে কোন পানির  ব্যবস্থা নেই আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি আমাদের বাঁচান।
কৃষকদের দাবি তিন থেকে চারটি  সাবমারসিবল পাম্প বসিয়ে আমাদের উদ্ধার করুন, যাতে আমরা পানির চাহিদা মেটাতে পারি।
এ বিষয়ে সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত কৃষক ও কর্মকর্তাদের মত বিনিময়ে কোন প্রকার সমাধান পাননি কৃষকরা।
মো:রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড,  বলেন সাবমারসিবল পাম দেওয়ার আমাদের কোন নিয়ম নেই,  আমরা সাবমারসিবল পাম দিতে পারব না।
তবে সৃষ্টিকর্তার ওপর আস্থা রাখেন আশা করি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তে আগামী সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি নামতে পারে, বৃষ্টি নামলে আপনাদের সমস্যা সমাধান হবে আমরা নদীতেও পানি পাব।
তিনি আরো বলেন নদী খননের জন্য আমরা উপরমহলে  আবেদন করেছি,আশা করি সামনে বছরে নদী খননের প্রকল্পটি চালু হতেপারে, আপনারা সবাই দোয়া করবেন বাস্তবায়নটা যদি করতে পারি তাহলে কৃষকদের আর চিন্তা থাকবেন।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.